দেশে খেলাপি ঋণ বেড়ে ২ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এটি গত ১৬ বছরের মধ্যে বিতরণকৃত ঋণ ও খেলাপি ঋণের সর্বোচ্চ অনুপাত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, মাত্র তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।


রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অবস্থা শোচনীয়:
সেপ্টেম্বর শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ১১১ কোটি টাকায়, যা তাদের বিতরণকৃত মোট ঋণের ৪০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এদিকে, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা, যা তাদের বিতরণকৃত ঋণের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
বিদেশি ও বিশেষায়িত ব্যাংক:
বিদেশি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা।
আসল তথ্য বেরিয়ে আসার কারণ:
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপের ফলে ব্যাংক খাতের প্রকৃত চিত্র সামনে আসছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এতদিন স্বার্থান্বেষী মহলের কারসাজিতে এই চিত্র চাপা পড়ে ছিল।
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে এবং দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, তার পদত্যাগের পর ব্যাংকিং খাতের প্রকৃত পরিস্থিতি উন্মোচিত হতে শুরু করেছে।