পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হলো ‘জুলাই বিপ্লবের গৌরবগাথা,’ বাদ অতিরিক্ত বন্দনা
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার ‘জুলাই বিপ্লব’ ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ঘটনাবলী এবার স্থান পেয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে। ২০১২ সালের শিক্ষা কারিকুলামে ফিরে গিয়ে সংশোধিত বইগুলোতে রাজনৈতিক বন্দনার পরিবর্তে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ঐতিহাসিক ঘটনা ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা।
নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে সীমিত পরিসরে তুলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত নতুন শিক্ষাবছরের পাঠ্যবই। সংশোধিত ও পরিমার্জিত সব বইয়ের অনলাইন ভার্সন পাওয়া যাচ্ছে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে। তাতে দেখা গেছে, বিভিন্ন শ্রেণির পরিবর্তিত পাঠ্যপুস্তকে স্থান পেয়েছে ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের বিভিন্ন গল্প, ছবি, কার্টুন, গ্রাফিতিসহ বিভিন্ন বিষয়। ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে গত ১৫ বছরের রাজনৈতিক অতিকথন ও বন্দনায়। নবম-দশম শ্রেণির বইতে তুলে ধরা হয়েছে শেখ হাসিনার পতনের গল্পও।


নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বইয়ে ‘আমাদের নতুন গৌরবগাঁথা’ নামে একটি অধ্যায় যোগ হয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের ঘটনাবলী ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিশদ বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
পঞ্চম শ্রেণির বইয়ে সংযোজন করা হয়েছে ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’ অধ্যায়, যেখানে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের কথা বলা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির চারুপাঠে কার্টুন ও ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে প্রতিবাদের ভাষা প্রদর্শিত হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় ইতিহাসের অতিরিক্ত বন্দনা কমিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত অবদান ও জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনাগুলো প্রাধান্য পেয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেছেন, “নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতেই এই পরিবর্তন। রাজনৈতিক বন্দনা বাদ দিয়ে ঐতিহাসিক সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে।”