জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সব অর্থ ব্যাংকে জমা আছে: আইনজীবী কায়সার কামাল
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সমস্ত অর্থ ব্যাংকে জমা রয়েছে এবং তা ক্রমেই বাড়ছে বলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগকে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল শুনানিতে তিনি এ তথ্য জানান।


শুনানিতে আদালত জানতে চান, জিয়া ট্রাস্টের অর্থের উৎস কী এবং তা কোথা থেকে এসেছে। জবাবে কায়সার কামাল বলেন, “কুয়েত সরকার মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে এই ফান্ড প্রদান করেছিলেন। সেই অর্থ ব্যাংকে জমা রয়েছে এবং বগুড়া ও বাগেরহাটে দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।”
এ সময় প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ট্রাস্টের কাজটি কবে থেকে শুরু হয়। জবাবে তিনি জানান, ২০০৬ সাল থেকে প্রতিষ্ঠান দুটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট তার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।
এছাড়া মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে তারেক রহমানসহ আরও চারজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করেন, যা এখনো চলমান।
শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, “ট্রাস্টের অর্থ ব্যাংকে সুরক্ষিত রয়েছে এবং তা নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ নেই।”
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের দাবি, তিনি কোনো অপরাধ করেননি এবং কোনো ক্ষমার আবেদনও করেননি। আইনগতভাবে তার মামলাগুলো মোকাবিলা করতে তিনি প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, এই মামলায় খালেদা জিয়ার দণ্ড রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে মওকুফ করা হলেও তিনি আইনগত প্রক্রিয়ায় তার নির্দোষিতা প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিরতির পর আপিল বিভাগের শুনানি পুনরায় শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।