সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার শনিবার (১১ জানুয়ারি) এক পুলিশ প্রতিবেদন তুলে ধরে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সরকার ধর্ম, বর্ণ, জাতি, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এইসব হামলার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে। সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে এবং পুলিশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এসব অভিযোগের সমাধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, পুলিশ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ গ্রহণ করছে এবং ৯৯৯ হেল্পলাইন নম্বরে এ ধরনের অভিযোগ জানানো হলে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের সংশ্লিষ্ট বাহিনী ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জানায়, গত কয়েক মাসে দেশে ১ হাজার ৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন, সম্পত্তি ও উপাসনালয়গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশ জানায়, সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগের মধ্যে বেশিরভাগই রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে, এবং সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা খুব কম ছিল।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।

Nagad