ছাত্রদের প্রতিনিধি সরকারে রেখে নির্বাচন করলে মানবে না বিএনপি: মির্জা ফখরুল
ছাত্রদের প্রতিনিধিকে সরকারে রেখে নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলো তা মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারবে না।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বিরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।


মির্জা ফখরুল আরও বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারলে তারা নির্বাচন করতে পারবেন না।
জুলাই-আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা বলার সময় তিনি বলেন, “আমরা আর্লি ইলেকশন চাই। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ন্যূনতম সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। অতীতের অভিজ্ঞতায় কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে এমন নির্বাচন সম্ভব।”
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে বিএনপি কী করবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা দলীয়ভাবে আলোচনা করব এবং যারা আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদের সঙ্গেও পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেব।”
রাষ্ট্র মেরামতের জন্য বিএনপির দেওয়া ৩১ দফা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। মুহাম্মদ ইউনূস যতগুলো সংস্কার নিয়ে কাজ শুরু করেছেন, তা দশ বছরের মধ্যেও শেষ হবে না।”
ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যদি ছাত্রদের প্রতিনিধি সরকারে থেকে যায়, তাহলে সরকার নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে না। আর এভাবে নির্বাচন করতে চাইলে রাজনৈতিক দলগুলো তা মেনে নেবে না।”
সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে বর্তমান সময়ে কোনো প্রশ্ন নেই বলে জানান মির্জা ফখরুল। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রশ্ন ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন।