পদমর্যাদা চেয়ে ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের রিভিউ আবেদন
রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রমে যথাযথ অন্তর্ভুক্তির দাবিতে রিভিউ আবেদন করেছেন ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এই আবেদন করা হয়।
ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম। তারা জানান, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রমে অ্যাটর্নি জেনারেল ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলেও ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের নাম হয়তো ভুলক্রমে বাদ পড়েছে।


আইনজীবীরা বলেন, “এই ভুল সংশোধন করে ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের যথাযথ মর্যাদায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রিভিউ আবেদন করা হয়েছে।” আপিল বিভাগ আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি এই আবেদনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম ঠিক করতে আপিল বিভাগ একটি রায় দেন, যা ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রকাশিত হয়। রায়ের মূল নির্দেশনাগুলো হলো:
১. রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রমে সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে স্থান দিতে হবে। ২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছে। ৩. অতিরিক্ত জেলা জজদের অবস্থান জেলা জজদের ঠিক পরেই থাকবে।
এই রায়ে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং নীতি নির্ধারণ বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে এর ব্যবহার করা যাবে না।
ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা দাবি করেছেন, তাদেরও সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্য যথাযথ মর্যাদায় রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
প্রসঙ্গত, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।