ফেব্রুয়ারি-মার্চজুড়ে রাজপথে থাকবে ছাত্র-জনতা: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫

সংগৃহীত ছবি

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসজুড়ে ছাত্র-জনতা রাজপথে অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভারতে বসে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। কিন্তু আতঙ্ক ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। ছাত্র-জনতা ইতোমধ্যেই মাঠে রয়েছে এবং আগামী দুই মাস তারা রাজপথেই থাকবে।’

শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের এ বিষয়ে কিছু ব্যাখ্যা রয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে হবে। এটি কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়। তবে যদি তিনি ভারতে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করেন, তাহলে এর দায়ভার ভারত সরকারের ওপরই বর্তাবে।’

ছাত্র-জনতার প্রস্তুতির বিষয়ে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে যেকোনো ধরনের নৈরাজ্যের জবাব দিতে ছাত্র-জনতা রাজপথে থাকবে। আমাদের ঐক্য নষ্ট করার নানা অপচেষ্টা চলছে, কিন্তু আমরা প্রস্তুত আছি এবং প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।’

অনুষ্ঠানে ‘সংবাদপত্রে জুলাই অভ্যুত্থান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এটি ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের দলিল হিসেবে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়। এটি সঠিকভাবে উপস্থাপনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তবে কিছু সংবাদমাধ্যম অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে কেউ ছবির মাধ্যমে, কেউ গ্রাফিতি ও ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। জাতীয় দৈনিকগুলোর প্রতিবেদনের সংকলন হিসেবে প্রকাশিত এ গ্রন্থ মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রামের ইতিহাসকে অম্লান রাখবে।’

Nagad

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বইটির লেখক ও প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব আহমেদ ফয়েজ, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।