বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা
চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রেখেই সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে নতুন মুদ্রানীতি নিয়ে আলোচনা হবে। রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল থাকা এবং মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসার কারণে বিনিময় হার ব্যবস্থাপনায় বড় কোনো পরিবর্তন আসছে না। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনই সংকোচন বা সম্প্রসারণমূলক নীতিতে যাচ্ছে না।


এটি অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এবং গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম মুদ্রানীতি।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের ১৮ জুলাই প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিল, যেখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরা হয়। সেই সময় সংবাদ সম্মেলন না করে ওয়েবসাইটে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছিল।
বর্তমানে ব্যাংকগুলোর স্বল্পমেয়াদি সুদহার ১০ শতাংশ রয়েছে, যা তিন দফায় ৫০ বেসিস পয়েন্ট করে বাড়ানো হয়েছিল। এতে গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসায় নীতি সুদহার বাড়ানো হচ্ছে না। বরং ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের স্বার্থে সুদহার কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ছয় মাসে অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অবনতি হচ্ছিল, তা ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে রিজার্ভ ২০.২০ বিলিয়ন ডলার রয়েছে এবং ডলারের বিনিময় হার ১২২ থেকে ১২৪ টাকার মধ্যে রয়েছে।
সর্বশেষ জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৯৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত ডিসেম্বর শেষে ছিল ১০.৮৯ শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতি কীভাবে দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করবে, তা নিয়ে আগ্রহী রয়েছে বিভিন্ন মহল।