আরাকান আর্মির হাতে ট্রলারসহ ১৯ জেলে জিম্মি, পরিবারের উৎকণ্ঠা
কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী থেকে মাছ ধরার চারটি ট্রলারসহ ১৯ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। দুই দিন পার হলেও তারা এখনো জিম্মি রয়েছে, ফলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীন জানান, গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে মাছ ধরে ফেরার পথে চারটি ট্রলার ও ১৯ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে।


কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল জলিল জানান, ‘টেকনাফের কায়ুকখালী ঘাটের দুটি ট্রলারসহ ৯ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি।’
শাহপরীর দ্বীপ মাঝারপাড়া নৌঘাটের সাধারণ সম্পাদক আবদুর গফুর বলেন, ‘শাহপরীর দ্বীপ মাঝারপাড়া ঘাটের দুই ট্রলারসহ ১০ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তারা এখনো ফেরেনি।’
বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ চলছে, তাদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে। শিগগিরই তারা ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’
এর আগে, ১০ ফেব্রুয়ারি নাফ নদীর মোহনায় মাছ ধরতে যাওয়া চার বাংলাদেশি মাঝিমাল্লাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। ১২ দিন পার হলেও তারা এখনো ফেরেনি।
এছাড়া, গত বছর ৬ অক্টোবর টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ থেকে ৬টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৫৮ জেলেকে গভীর সাগরে অপহরণ করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। অপহরণের সময় গুলি চালানোয় একজন জেলে নিহত হন, পরে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় তাদের ফেরত আনা হয়।
সবশেষ ১৫ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইনে আটক ১৬ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত এনেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বারবার বাংলাদেশি জেলেদের অপহরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে দুই দেশের মধ্যে কার্যকর আলোচনা প্রয়োজন।