লেবু থেকে মাংস—নিত্যপণ্যের দামে আগুন, বিপাকে ক্রেতারা
আজ চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল রোববার (২ মার্চ ) থেকে দেশে পবিত্র মাহে রমজান শুরু। এ সময় বাজারে নিত্যপণ্যের দামে ‘আগুন ভাব’ লক্ষ্য করা গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভোজ্য তেলের সংকটও।
শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় দুই মাস ধরে সরবরাহ সংকটে থাকা সয়াবিন তেলের বাজার এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এছাড়া লেবু, শসা, বেগুন, গরুর মাংস এবং মুরগির দাম বেড়েছে।


এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২০ টাকায়, যা দেড় সপ্তাহ আগেও ছিল ২০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ টাকা বেশি। বেগুনের দামও কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩১০ টাকায়। গরুর মাংসের দাম কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি। মাছের দামও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।
খেজুর, চিনি, ছোলা, চিড়া, মুড়ি এবং গুড়ের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত চার মাসে চিনি আমদানি ২০ শতাংশ, ডালজাতীয় পণ্য ৪৪ শতাংশ এবং ছোলা আমদানি ৬৪ শতাংশ বেড়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, কোম্পানির ডিলাররা পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করছেন না এবং বোতলজাত সয়াবিনের সঙ্গে অন্যান্য পণ্য নেওয়ার শর্ত দিচ্ছেন। ফলে বাজারে তেলের সংকট তৈরি হয়েছে।
বাজারে আসা ক্রেতাদের অভিযোগ, রোজার মাস সংযমের হলেও ব্যবসায়ীরা এ সময় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। অনেকেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কিনে রাখছেন, যা সংকট আরও বাড়াচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য না কিনলে রমজানের এক সপ্তাহের মধ্যেই দাম স্বাভাবিক হতে পারে। তবে আপাতত নিত্যপণ্যের দামে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।