গোলশূন্য ড্র, ভারতের মাঠে দারুণ লড়াই বাংলাদেশের

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০২৫

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ভারতের অবস্থান ১২৬, আর বাংলাদেশের ১৮৫। শক্তিমত্তার পার্থক্য স্পষ্ট। তার ওপর ম্যাচটি ভারতের মাটিতে হওয়ায় স্বাগতিকদের সুবিধা ছিল অনেক বেশি। তবে বাস্তবে মাঠের খেলায় এসব ফারাক চোখে পড়েনি। বরং এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বাংলাদেশ কখনো কখনো ভারতকে ছাপিয়ে গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি লাল-সবুজের দল। শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র (০-০) হয়েছে।

ম্যাচের শুরুতেই চমক দেখায় বাংলাদেশ। মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মাথায় ভারতের রক্ষণে আতঙ্ক ছড়ায় মজিবুর রহমান জনি। ভারতের গোলরক্ষক বিশাল বায়েতের ভুলে বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ১০ মিনিট পর ফের ভুল করেন বিশাল, এবার বল পান মোহাম্মদ হৃদয়। তবু গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।

১২ মিনিটের মধ্যেই তিনবার ভারতীয় রক্ষণে ভীতি ছড়ায় বাংলাদেশ। বিশেষ করে মোরসালিনের ক্রসে ইমনের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ১৯ মিনিটের মধ্যে তিনবার গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেও লিড নিতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ।

ভারতের শিবিরে চাপ, অধিনায়ক তপু ইনজুরিতে
বাংলাদেশের আগ্রাসী খেলায় প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময় ব্যাকফুটে ছিল ভারত। তবে ২২ মিনিটে দুঃসংবাদ পায় বাংলাদেশ শিবির। অধিনায়ক তপু বর্মন ইনজুরিতে পড়েন এবং স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়েন। তার জায়গায় বদলি হিসেবে নামেন রহমত মিয়া। তপুর বিদায়ের পর ভারত কিছুটা ম্যাচে ফিরতে থাকে।

২৮ মিনিটে ভারতের লিস্টন কোলাসোর দুর্বল শট সহজেই রুখে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিতুল মারমা। এরপর ৩০ মিনিটে ভারতের সবচেয়ে ভালো সুযোগটি এসেছিল। পাল্টা আক্রমণ থেকে উদান্তা সিংয়ের শট ঠেকিয়ে দেন বাংলাদেশের তরুণ ডিফেন্ডার শাকিল আহমেদ। ফিরতি বলে ফারুক হাজির শটও ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক মিতুল।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই সুযোগ পেলেও গোলশূন্য ড্র
প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। দ্বিতীয়ার্ধে ভারত তুলনামূলক ভালো খেললেও বাংলাদেশ তাদের চাপে ফেলতে দেয়নি। বরং শেষ পাঁচ মিনিটে বাংলাদেশ গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিল।

Nagad

৮৯ মিনিটে রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো থেকে ফিরতি বলে ফাহিমের শট ঠেকিয়ে দেন ভারতের গোলরক্ষক। তার আগে ভারতের শুভাসিস বসুর হেড ও সুনিল ছেত্রীর শট লক্ষ্যে থাকেনি, ফলে ম্যাচ শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র হয়।

বাংলাদেশ একাদশ:
মিতুল মারমা, তপু বর্মন (অধিনায়ক) (রহমত মিয়া), তারিক কাজী, শাকিল আহমেদ, হামজা চৌধুরী, মোহাম্মদ হৃদয় (সোহেল রানা), মোরসালিন (সোহেল রানা-২), রাকিব হোসেন, সাদ উদ্দিন, মজিবুর রহমান জনি (ফাহিম), শাহরিয়ার ইমন (চন্দন)।