রেমিট্যান্সের জোয়ারে আরও বাড়ল দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রবাসী আয়ে লেগেছে সুবাতাস। রেমিট্যান্স প্রবাহের এই ইতিবাচক ধারা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। চলতি এপ্রিল মাস শেষে দেশের মোট রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। তিনি বলেন, “বর্তমানে রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। আইএমএফের ঋণ সহায়তার অন্যতম শর্ত ছিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিট রিজার্ভ নির্ধারিত মাত্রায় উন্নীত করা। আশা করছি, জুনের মধ্যেই সেই শর্ত পূরণ করতে পারবো।”


বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী নিট রিজার্ভ রয়েছে ২২ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার।
চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ২৯ দিনেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা চলমান ধারা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তার আগে মার্চ মাসে প্রবাসী আয় রেমিট্যান্সের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়ে। ওই এক মাসে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে প্রবাসী আয়:
জুলাই: ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, আগস্ট: ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বর: ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবর: ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ, ডলার, নভেম্বর: ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বর: ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারি: ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারি: ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চ: ৩২৯ কোটি ডলার।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা সাত মাস ধরে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে রিজার্ভে।
এর আগে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার, আর আইএমএফ পদ্ধতিতে হিসাব করা রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। বর্তমান বৃদ্ধি রেমিট্যান্সের উপর নির্ভর করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারকে আরও শক্তিশালী করছে।