আ.লীগ নিষিদ্ধে সাধুবাদ, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি
আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে দ্রুত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানিয়েছে দলটি।
রোববার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক ভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।


তিনি বলেন, ‘মাফিয়া শক্তি আওয়ামী লীগের কোনো গণতান্ত্রিক বৈধতা নেই। তাদের ডিএনএতে গণতন্ত্র নেই। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা সাহসিকতার প্রমাণ। এ ধরনের নিষিদ্ধ ঘোষণার পর তাদের নিবন্ধন বাতিলসহ অন্যান্য আইনগত প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত।’
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, কয়েক মাস আগে বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিতভাবে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল, যাতে আওয়ামী লীগকে মানবতাবিরোধী ও গণহত্যার দায়ে বিচারের আওতায় আনা হয়। ‘তখন যদি বিষয়টি গুরুত্ব পেত, তাহলে গত দুই দিনের আন্দোলন ও অস্থিরতা এড়ানো যেত,’ বলেন তিনি।
সরকারের সঙ্গে বিএনপি ভবিষ্যতে সহযোগিতা করবে বলেও জানান তিনি। ‘আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার দেশের স্বার্থে আমাদের দেওয়া পরামর্শগুলো যথাসময়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশের মানুষ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তাই আমরা দ্রুত একটি নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ প্রকাশের জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় সরকারকে নতুন করে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে।’
এর আগে, গত ৭ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের থাইল্যান্ড সফরের খবরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবিতে তারা রাজপথে নামে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় জুলাই অভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংগঠন। যদিও বিএনপি এবং বামপন্থী দলগুলো সরাসরি আন্দোলনে অংশ নেয়নি।
দুই দিনের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে শনিবার (১০ মে) রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী সোমবার (১২ মে) এ বিষয়ে সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হবে।