‘জীবনের চাকা আপনার হাতে’: আফজাল হোসেনের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো লেখক ও গবেষক আফজাল হোসেনের আত্ম-উন্নয়নমূলক গ্রন্থ ‘জীবনের চাকা আপনার হাতে’–এর মোড়ক উন্মোচন ও আবৃত্তি সন্ধ্যা।
শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও বিনোদন জগতের খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বরা।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা হাসিবুর রেজা কল্লোল, নন্দিত অভিনেতা সাখাওয়াত হোসেন নিরব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও কবি মালেক মুস্তাকিম, বিশিষ্ট কবি, গীতিকার ও গবেষক রাম চন্দ্র দাস, ইউনিকম টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন দেওয়ান ও পরিচালক মো. রিদওয়ান দেওয়ান, বিক্রয়বন্ধুর রাজিব আহমেদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীর, লেখক আফজাল হোসেনের মা মোসা. সাহিদা বেগম, তীরন্দাজ নাট্যদলের সভাপতি কাজী রাকিব এবং বৈঠকের সভাপতি কবি শাহীন রেজা রাসেল।
এ অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন ফারজানা করিম ও হাসান মাহাদী লালটু। আবৃত্তি পর্বে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা উপভোগ করেন লেখকের জীবন দর্শন ও আত্ম-উন্নয়নের দর্শন নিয়ে গঠিত বইয়ের নির্বাচিত অংশ।
আফজাল হোসেন একজন এইচআর প্রফেশনাল হিসেবে বর্তমানে একটি গ্রুপ অব কোম্পানিতে হেড অব এইচআর পদে কর্মরত। কর্মজীবনের সূচনা রাজশাহীর ভরাণীগঞ্জে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে ঢাকায় পাড়ি জমান এবং এমজী সেক্টরে যুক্ত হন। ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এইচআর খাতে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।
রাজশাহীর বাগমারা থানার প্রত্যন্ত এক গ্রামে জন্ম নেওয়া আফজাল হোসেন পড়াশোনা করেছেন বিএসসি, এমএ, এমবিএ, পিভিডি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট কোর্স সম্পন্ন করেছেন। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি আগ্রহী আফজাল হোসেন বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও অনুষ্ঠানে নিয়মিত লেখালেখি করে আসছেন।
তার প্রথম বই ‘জীবনের চাকা আপনার হাতে’ একটি গবেষণাধর্মী, জীবনমুখী এবং মোটিভেশনাল গ্রন্থ যা মাইন্ডসেট ও ব্রেইনের নিউরাল ট্যান্ডন্সফার সম্পর্কে পাঠকদের একটি গভীর ধারণা দিতে সক্ষম। লেখক বিশ্বাস করেন, এই বই পাঠকের জীবন ও দৃষ্টিভঙ্গিকে আমূল বদলে দিতে পারে।
লেখকের ভাষায়, পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ রয়েছেন–একজন বইটি পড়ে নিজের জীবন উন্নয়নে কাজে লাগান, অপরজন এই জ্ঞান না পেয়ে পিছিয়ে থাকেন। তাই বইটি শুধু একটি পাঠ নয়, এটি একটি রূপান্তরের হাতিয়ার।
অনুষ্ঠানটি ছিল সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য এক ব্যতিক্রমধর্মী সন্ধ্যা, যেখানে কণ্ঠে কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে আত্ম-উন্নয়নের বার্তা ও জীবনের চাকার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেওয়ার আহ্বান।