‘ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে নির্বাচন কমিশন, সরকার এবং জনগণের জন্য সুবিধাজনক হবে’
আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা নির্বাচন কমিশন, সরকার এবং জনগণের জন্য সুবিধাজনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘কে নির্বাচন চায় না? সবাই নির্বাচন চায়।’
সোমবার (১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।


তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তি দিয়ে বলেছি—ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে ইসির সুবিধা, সরকারের সুবিধা, জনগণেরও সুবিধা। সরকার যদি অন্য কোনো যুক্তি দেখাতে চায়, তাহলে তা পরিষ্কারভাবে জানাক। তারিখ ঘোষণা করুক, এটাই ছিল তাদের দায়িত্ব।’
সম্প্রতি জাপান সফরে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘বিদেশে গিয়ে বলা হয়েছে, একমাত্র বিএনপিই নির্বাচন চায়—এটা সত্য নয়। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ৫২টি দল একত্রিত হয়ে ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় বলে মত দিয়েছে। এসব দলের নাম ও নেতাদের বক্তব্যও ছাপা হয়েছে।’
তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘যে মানুষটিকে আমরা দেশের ভেতরে-বাইরে সম্মান করি, যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তিনি কেন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেবেন? আমরা এখনো আশাবাদী—তিনি তা উপলব্ধি করবেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা চাই একটি ছোট উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হোক, যারা বিতর্কিত নন। তাদের মাধ্যমেই একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন সম্ভব। আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে অংশ নেব। আমরা আগেই সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি—সেখানে সম্মিলিতভাবে নির্বাচনের রূপরেখা দেওয়া আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান সংকট নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই সংকট উত্তরণে প্রয়োজন সর্বদলীয় ঐকমত্য। আমরা চাই সব দলের সম্মতিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক।’
নির্বাচনের সময় নিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘জুনে নির্বাচন দেয়া বাস্তবসম্মত নয়। ডিসেম্বরের পর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে রোজা ও ঈদ। এরপর এপ্রিল-মে মাসে পাবলিক পরীক্ষা। এসব সময়ে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব নয়। আর জুনে বর্ষাকাল শুরু হয়—ভোটগ্রহণে জটিলতা তৈরি হয়।’
তিনি বলেন, ‘সরকার এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিন ঘোষণা করুক। যে তারিখটিকে উপযুক্ত মনে করবে, সেটাই জানিয়ে দিক।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, আ ন হ আখতার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামসুল ইসলাম শামস, সৈয়দ আলমগীর, সেলিম ভূঁইয়া, জাকির হোসেন, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, শামীমুর রহমান শামীম, এ কে এম মহসিন, রাশেদুল হক, আবেদ রেজা, ফখরুল আলম, সাইফুজ্জামান সান্টু, জিয়াউল হায়দার পলাশ, জাহানারা বেগম, এ কে এম মুসা, তানভীরুল আলম ও মির্জা লুৎফুর রহমান লিটন।