বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শুধু জাতীয় নির্বাচন চায়
বিএনপি ৯০ দিন মেয়াদের নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে কেবল জাতীয় নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনার পর মধ্যাহ্ন বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।


সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দল চায় না স্থানীয় সরকার নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হোক।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, কমিশন চার মাসের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে বিএনপি মনে করে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ তিন মাসের বেশি হওয়া উচিত নয়।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি প্রস্তাব দিয়েছে যে, সংসদ সদস্যরা দলীয় অবস্থানের বাইরে ভোট দিতে পারবেন—তবে অনাস্থা প্রস্তাব, অর্থ বিল, সংবিধান সংশোধন এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এটি প্রযোজ্য হবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘যদি যুদ্ধাবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। এটি ৭০ অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর সবগুলো বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের নেতৃত্বে থাকবে—এই প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি একমত নয়।
তিনি বলেন, ‘কিছু কমিটি বিরোধী দলের নেতৃত্বে থাকতে পারে, তবে সব কমিটির নেতৃত্ব বিরোধী দলের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়।’
দ্বিতীয় দফার আলোচনার মঙ্গলবারের অধিবেশন সকাল ১১টায় কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে শুরু হয়। বিএনপি, জামায়াত এবং ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)-সহ প্রায় প্রায় ৩০টি দল এই বৈঠকে অংশ নেয়।
গতকাল সোমবার (২ জুন) প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার উদ্বোধন করেন।
জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারমূলক উদ্যোগের বিষয়ে আলোচনা করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২০ মার্চ প্রথম দফার সংলাপ শুরু করে।
কমিশন ৩৩টি দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করে—যার মধ্যে ছিল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। গত ১৯ মে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম দফার সংলাপ শেষ করে কমিশন।
কমিশনটি চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়। কমিশনের লক্ষ্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানো।