আওয়ামী লীগ ডাইভারশন খুব ভালো জানে: মির্জা ফখরুল

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৫৮ অপরাহ্ণ, জুন ৮, ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ডাইভারশন খুব ভালো জানে। দৃষ্টি ফেরাতে সবসময় অন্য কিছু করে। সীমাহীন লোডশেডিং থেকে এখন দৃষ্টি সরাতে হবে। তাই আমির হোসেন আমু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যরা এখন সংলাপের বক্তব্য সামনে এনেছেন। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই। পদক্ষেপ নেন, তত্ত্ববধায়ক সরকার দেন। পরে দেখা যাবে কী করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র সংকট: উত্তরণ প্রয়াসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সবায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) এ সভার আয়োজন করে।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নুরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল ও খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম শিমুল।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কাদের গণি চৌধুরী, ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক সাজেদুল করিম, অধ্যাপক মতিনুর রহমান, অধ্যাপক আখতার হোসেন, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক আবুল হাশেম, অধ্যাপক আনিসুর রহমান, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ দেশের স্বাধীনতার ৫২ বছরেও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর পদ্ধতি তৈরি করতে পারিনি। তবে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গণতান্ত্রিক মানসিকতার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া; যিনি গৃহবধূ থেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি সবার মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কারণ জনগণ তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি দলের কথা চিন্তা করেননি। কিন্তু ২০১১ সালে শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেন। এরপর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেদিন গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, দেশকে অনিশ্চয়তা ও সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হলো।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ যে দলটি ক্ষমতায় আছে, তারা বারবার গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু সেই দলটির হাতে গণতন্ত্র বারবার নিহত হয়েছে। গণতন্ত্র আমাদের মজ্জায় ছিল, যা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ একে একে গণতান্ত্রিক সব অধিকার হরণ করেছে। তারা জরুরি অবস্থা, সামরিক আইন এবং শেষে বাকশাল কায়েম করেছিল।

Nagad

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ দেশের রাজনীতিতে একদল আরেক দলকে বিশ্বাস করেনা। যে কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশে চারটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।, যা দেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আমরা আজ স্বাধীনতার ৫২ বছরেও ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে লড়াই করছি।