ডেঙ্গুর প্রকোপ: ‘ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শক সিনড্রোমে মৃত্যু বেশি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:২৪ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২৩

চলতি বছর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের প্রায় প্রত্যেকে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিন্ড্রোমে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহম্মদ খুরশীদ আলম-বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শক সিনড্রোমে এবার বেশি মৃত্যু। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে। যা জানার জন্য অটোপসি করা প্রয়োজন। কিন্তু তা পরিবার অনুমোদন দেবে না। আর এটা সাধারণ প্র্যাকটিসও নয়।’

শনিবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহম্মদ খুরশীদ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

খুরশীদ আলম বলেন, অন্যান্য বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও এ বছর শীত ও গ্রীষ্মে হাসপাতালে রোগীর ভিড় দেখা যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগ পুরোপুরি প্রস্তুত বলে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, মশা নিধন করাটা সব থেকে জরুরি। সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, একটা অভিযোগ রয়েছে- হাসপাতালে ভর্তি অনেক ডেঙ্গু রোগী মশারির ভেতরে থাকতে চান না। এতে চিকিৎসক-নার্সসহ অন্য রোগে আক্রান্তদের ঝুঁকি বাড়ছে। এ সময় সবাইকে নিয়ম মেনে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষা সরকারি হাসপাতালে ১০০ এবং বেসরকারিতে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। কেউ বেশি নিলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে অধিদপ্তর।

হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক শেইখ দাউদ আদনান জানান, ডেঙ্গু পরীক্ষায় গুরুত্ব দিতে সব হাসপাতালকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের গত বছরই পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেক হাসপাতলে গাইডলাইন সরবরাহ করা হয়েছে। রোগীদের জন্য মশারি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু রোগীরা মশারির ভেতর থাকছেন না। চিকিৎসক আসলে তারা মশারির ভেতর থাকছেন, বাকি সময়টা বাইরে থাকছেন। রোগীদেরকে মশারির ভেতরে রাখার বিষয়ে পুলিশিং ব্যবস্থা আমাদের নেই। এ বিষয়ে আমাদের রোগীদেরকেই সচেতন হতে হবে।

Nagad

এ সময় ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুস্থ হওয়ার পর রোগীদের জটিলতা বেশি দেখা যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ডেঙ্গু রোগীদের সব তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের তথ্য ও ডেঙ্গুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রোগীদের তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালগুলোকে আগত রোগীদের মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিফিংয়ের আওতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে রাজধানীর ৫৩টি ডেডিকেটেড হাসপাতালের সঙ্গে আরও ৩২টি হাসপাতালে মিলিয়ে মোট ৮৫টি হাসপাতালের তথ্য তুলে ধরা হবে।