‘অনেক কথা বলেছি, এখন আর আমাদের কথা বলার সময় নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:৫৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২৩

বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংগৃহীত ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা অনেক কথা বলেছি। এখন আর আমাদের কথা বলার সময় নেই। আমাদের এখন একটাই কাজ। সেটা হলো এই ভয়াবহ লুটেরা, ফ্যাসিস্ট, সংবিধানলঙ্ঘনকারী, যারা আমাদের মানুষের সমস্ত অর্জনগুলো কেড়ে নিয়েছে, তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া।

বুধবার (১২ জুলাই) নয়াপল্টনে সরকার পতনের লক্ষ্যে এক দফার ঘোষণা দেওয়ার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। অবশ্যই নির্বাচন চাই। কিন্তু আপনাদের শেয়ালের মতো নির্বাচন চাই না। ২০১৪ সালে শেয়ালের মতো খেয়েছেন। ২০১৮ সালে খেয়েছেন। এখন আবার নতুন করে একই কায়দায় নির্বাচন করতে চান। কিন্তু যখন সুনামি হয় তখন কি ঠেকিয়ে রাখা যায়? প্রতিবাদের সুনামি শুরু হয়েছে। মাত্র দুইদিনের নোটিশ। সয়লাব হয়ে গেছে। অনেক চেষ্টা করেছে এটাও বানচাল করার। আমাদের অনেককে বাধা দিয়েছে। ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। তরুণরা দুর্বার গতিতে এগিয়ে এসেছে। একটাই আশা পরিবর্তন চায়।’

সরকারের পতন দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা এর শেষ চাই। এই সরকার দেশ-গণবিরোধী, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী সরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, কৃষক, রিকশা শ্রমিক, নিম্নআয়ের মানুষ বাজারে গিয়ে কেনাকাটা করতে পারছে না। অথচ তারা ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলেছিল। আমাদের কৃষকদের বিনামূল্যে সার দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু সেই সারের দাম কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল। চাকরি হয়েছে? হ্যাঁ তাদের লোকদের চাকরি দিয়েছে। সেখানেও ২৫ লাখ পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়। অথচ তারা কি বলে- উন্নয়নশীল দেশে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বাড়বেই। মানুষ খেয়েদেয়ে খুব শান্তিতে ঘুমাচ্ছে। কয়েকদিন আগে তারা বলেছে- আমাদের এখানেই ভালো নির্বাচন হয়, আওয়ামী লীগের অধীনে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরাকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, একটা নাবালক মেয়ের এই অবস্থা, এটা দেখে বুক ফেটে গিয়েছে। আমরা তো এমন দেশ চাইনি। উচ্চ আদালত থেকে তার জামিন আদেশ স্থগিত করে রাখা হয়েছে। এই হচ্ছে অবস্থা।

Nagad

তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো খালি হয়ে গেছে। টাকা পাচার হয়ে গেছে দেশের বাহিরে। বিশেষ করে আমেরিকায়। আর যেই আমেরিকায় স্যাংশন দিয়েছে। তখন সেই টাকা বাঁচানোর জন্য আবার ফেরত আনা হচ্ছে।

এর আগে, দুপুর ২টায় বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়। এই সমাবেশ থেকেই সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের ঘোষণা দেবে দলটি। ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন।

ফখরুল বলেন, এনাফ ইজ এনাফ। তোমরা সবকিছু ধ্বংস করেছো। অর্থনীতি, গণতন্ত্র সব ধ্বংস করেছো। ব্যাংক লুট করেছো। টাকা পাচার করেছো। কি চমৎকার আইন করেছো! পাচার করা টাকা ফেরত আনলে তো কোনো প্রশ্ন করা হবেই না, বরং বোনাস দেওয়া হবে।