অক্টোবরকে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস ঘোষণার দাবি

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:৩০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩

এবার তরুণ ও শিশুদেরকে টার্গেট করে বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে আগামী অক্টোবর মাস সাইবার নিরপত্তা সচেতনা মাস পালন করবে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘অক্টোবরকে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস’ ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটি।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে চার সপ্তাহে ডিজিটাল সুরক্ষার ৪টি বার্তা দিয়ে এই সচেতনতা কার্যক্রমের ঘোষণা দিয়েছে এই ফাউন্ডেশনের জাতীয় কমিটি। সংগঠনটি বলছে, সচেতনতার মাধ্যমে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে মাস জুড়ে সবাইকে ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার অনুশীলন করাতে।

সিসিএ ফাউন্ডেশন সভাপতি কাজী মুস্তাফিজের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে জাতীয় কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান জানান, বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন ধরনের সাবইবার অপরাধ বেড়েছে ২৮১.৭৬ শতাংশ। আর এটা ঘটে অসচেতনতার কারণে। এ কারণেই আমরা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার এবং অনলাইনের বাসিন্দা হতে কিংবা ডিজিটাল স্পেসে কীভাবে চলতে হবে সেই সংস্কৃতি গড়ে তুলতে কাজ করবো। সক্রেটিসের থ্রি ফিল্টার ব্যবহার শেখাবো। এজন্য আমারা চাই এই মাসটি জাতীয়ভাবে পালন করা হোক। আমরা সম্মিলিতভাবে ডিজিটাল হাইজিন গড়ে তুলি।

বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস (ব্লাস্ট) এর পরিচালক (সালিস এবং প্রশিক্ষণ) তাপসী রাবেয়া বলেন, শিশুর হাতে ডিভাইস তুলে দিলেও তাদের সুরক্ষার বিষয় না সেখানেই তাদের কেউ কেউ অপরাধ করছে, কেউবা আক্রান্ত হচ্ছে। তাই নারী ও শিশুদের সচেতন করতে গুরুত্ব দিতে হবে।

একইভাবে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা বিষয়ক জাতীয় জাতীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মাদ আবুল হাসান বলেন, কোভিড কালীন সময়ে আমরা শিশুদের ইন্টারনেট ও ডিজিটাল ডিভাইস দিয়েছি কিন্তু তাদের এর ব্যবহার ও নিরাপদ থাকার কৌশল শেখাইনি। আবার নিজেরাও অসতর্ক। তাই সবাইকে সচেতন করেতই এই ক্যাম্পেইন।

বাংলাদেশ সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আশফাকুর রহমান জানান, এই ক্যাম্পেইনে যুক্ত হয়ে তার সংগঠন এন্টাপ্রাইজ পর্যায়ে আইওটি ডিভাইস ও সিস্টেমের নিরাপত্তায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্যাকেজ তৈরি করবে।

Nagad

ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন বলেন, কোভিড সময়ে আমরা শিশু ও এমন কিছু ব্যক্তিকে ইন্টারনেট বা ডিজটাল ডিভাইসে যুক্ত করেছি যা আরো অনেক পরে হতো। কিন্তু তাদের হাতে ডিজিটাল ডিভাইস তুলে দিলেও আমরা এগুলো ব্যবহারে সচেতন করতে পারেনি। তাছাড়াও আমাদের শিক্ষিত মানুষেরাও এ বিষয়ে অসচেতন। আমার জানা মতে, খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা প্রেমিকের সঙ্গে বিশ্বাসের প্রশ্নে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড শেয়ার করেন। এমনকি একজন পুরুষ শিক্ষকও এভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না পাসওয়ার্ড হচ্ছে টুথব্রাশের মতো। এটি সবাইর ব্যবহার করতে পারে না। তাই আমাদের এসব বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে সচেতনতায়।

রবি আজিয়োটার ভাইস প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, এক বছরে রবি’র ২০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে। ১৮ কোটির বেশি এমএফএস অ্যাকাউন্ট আসে। জিমেইলে আসা প্রায় দুই শতাংশ মেইল ফিশিং। আর এই ফিশিং এর মাধ্যমেই ডিজিটাল প্রতারণা ও হামলা বেশি হয়। আর ডিজিটাল সুরক্ষার বিষয়টি চলমান একটি প্রক্রিয়া। একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করলেই আমরা এর গুরুত্ব বুঝতে পারি। পাসওয়ার্ড বা সচেতনতা হচ্ছে গাড়ির ব্রেক এর মতো। ব্রেক করতে হয় কেবল নিরাপদ থাকার জন্যই নয়; গতি বাড়াতেও। ফাস্ট মুভ করতে হলেই ডিজিটাল সিকিউরিটি দরকার।