আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
পথের কাঁটা বিদ্যুতের ৪ খুঁটি
সড়কটি চালু হওয়ার পথে বাধা ছিল এক কাউন্সিলরের মালিকানাধীন ভবন। সেটি অপসারণ করা হলেও এবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পল্লী বিদ্যুতের চারটি খুঁটি। খুঁটিগুলো অপসারণ না করায় যানবাহন চলাচল শুরু হচ্ছে না ২১ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় নির্মিত সড়কটিতে। আশপাশের বাসিন্দারা সড়কটিকে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করছেন। কেউ ধান মাড়াই করছেন, কেউ খড় বা ধান শুকাচ্ছেন। এই চিত্র রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়কটি নির্মাণ করেছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর রেলবাজারে সড়কটির একটি নামফলক রয়েছে। তাতে লেখা, ‘রেলবাজার থেকে আমনুরা সড়ক ভায়া মাওলানার গেট, ধুলিশংক রাতাহারি’। ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের সাড়ে ১৯ কিলোমিটার পড়েছে গোদাগাড়ীতে। গত বছরের নভেম্বরেই সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু গোদাগাড়ীর সাগুয়ান ঘুন্টি এলাকায় গোদাগাড়ী পৌরসভার এক কাউন্সিলরের ভবন ছিল সড়কের মাঝখানে। এ জন্য সড়কটি চালু করা যাচ্ছিল না। এ নিয়ে গত ৮ জানুয়ারি ‘কাউন্সিলরের ভবনে আটকা সড়ক’ শিরোনামে প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সূত্র: প্রথম আলো


সরকার, বিরোধী সবার জন্য ভিসানীতির প্রয়োগ শুরু
গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারী বাংলাদেশিদের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। ম্যাথু মিলার বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যাঁদের ওপর ভিসানীতি প্রয়োগ করছে তাঁদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত আছেন। ভিসানীতির আওতায় চিহ্নিত ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত ২৪ মে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে ভিসানীতি ঘোষণা করেছিলেন। তখন বাংলাদেশ সরকার প্রতিক্রিয়ায় বলেছিল, ভিসানীতি যেন বস্তুনিষ্ঠতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রয়োগ করা হয়। যুুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, সরকার ও বিরোধী—সব পক্ষের জন্যই ভিসানীতি প্রযোজ্য হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার নীতি বন্ধ করুন
বিশ্বকে যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার নীতি পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে গতকাল তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করতে চাই- বাংলাদেশ সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে যাবে। বাংলাদেশের সংবিধান সবার মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করে। একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় আমরা সম্পূর্ণরূপে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭তম বার জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিলেন।প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চায় এবং সেখানে তারা শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে আগ্রহী। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, গত মাসে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে। সম্পূর্ণ মানবিক কারণে আমরা অস্থায়ীভাবে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু পরিস্থিতি এখন আমাদের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক হতাশার জন্ম দিয়েছে। এ পরিস্থিতি সম্ভাব্য মৌলবাদকে ইন্ধন দিতে পারে। এ অবস্থা চলমান থাকলে এটি আমাদের আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। সূত্র বিডি প্রতিদিন।
নিত্যপণ্যের সরকারি তিন মূল্য তালিকাই অকার্যকর
নিত্যপণ্যের সরকারি তিন তালিকার একটিও কার্যকর নেই রাজধানীর বাজারগুলোতে। শুধু তাই নয়, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দৈনিক পণ্যমূল্য তালিকা প্রকাশ করলেও তা একটির সঙ্গে আরেকটির কোনো মিল নেই। আবার এই দুই তালিকায় স্থান পাওয়া বিভিন্ন পণ্যমূল্যের সঙ্গে খুচরা বাজারে বিক্রিতে রয়েছে বেশ ফারাক। অন্যদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বাজারের মূল ফটকে তালিকা টানানোর বিধান থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা অনুপস্থিত। কোনো কোনো বাজারে চোখে পড়লেও সেটির অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ। বোর্ডের লেখা অস্পষ্ট। হালনাগাদও করা হয় না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিক্রেতারা কোনো তালিকারই তোয়াক্কা করছেন না। নিজেদের ইচ্ছেমতো ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম আদায় করছেন। প্রতিনিয়ত ঠকছেন ক্রেতারা। তাদের মতে, এ অকার্যকর তালিকা প্রতিদিন প্রকাশ করে সরকারি সংস্থাগুলো জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।বুধবার টিসিবির দৈনিক বাজার মূল্য তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেখানে প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিমের দাম দেওয়া ছিল ৪৮-৫২ টাকা। আর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মূল্য তালিকায় প্রতি হালি ডিমের দাম দেওয়া ছিল ৪৭-৪৮ টাকা। একই দিন রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারে বিক্রি হয়েছে ৫২-৫৬ টাকা। ওই দিন টিসিবির তালিকায় গরুর মাংসের দাম দেওয়া হয় ৭৫০-৭৮০ টাকা। সূত্র: যুগান্তর
ঢাকার জলাবদ্ধতায় দায় কার
‘এমন বৃষ্টি যদি না হতো, মানুষ রাতে নৌভ্রমণের স্বাদ কীভাবে পেত! আচ্ছা, কোন শহরে তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে সড়ক হয়ে যায় সাগর?’– ফেসবুকে এমন পোস্টের সঙ্গে ভিডিও জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আজিমপুর নদী, ৩০ টাকায় পারাপার।’ নিছক কয়েকটি বাক্যেও সেবা সংস্থার প্রতি কতটা শ্লেষ, তা আরও স্পষ্ট ওয়ালিউর রহমান মিরাজের ফেসবুক পোস্টে, ‘বৃহস্পতিবার রাতে যারা রাস্তায় ছিল না, তারা জানবে না সত্যিকার অর্থে ঢাকা কতটা নরক ছিল!’ মিরাজ যন্ত্রণা প্রকাশে যে ছবি দিয়েছেন, তা যেন জোয়ারের অথৈ পানিতে গাড়িগুলো খড়কুটো হয়ে ভাসছে। এমনই একটি পোস্টে ফেসবুক ব্যবহারকারী অন্তু মুজাহিদের কাব্যিক মন্তব্যে চোখ আটকে যাবে, ‘পানি থৈ থৈ থৈ, মেয়র আতিক কৈ? তৈ তৈ তৈ, মেয়র তাপস কৈ?’
বিভক্ত ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। দু’জনেই বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিজের পিঠ চাপটে দাবি করেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা তারা প্রায় ৬০ শতাংশ কমিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে কয়েক ঘণ্টায় ঝরা মাত্র ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি তাদের মুখে কাদা লেপটে দিয়েছে। রাতভর ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ সড়কে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহালেও পাশে পায়নি মেগা সিটির দায়িত্বে থাকা কোনো সেবা সংস্থাকে। সূত্র: সমকাল
নির্বাচনের আগে সক্রিয় ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’
ফ্রিডম রাসু, মামুনসহ একে একে জামিন পাচ্ছে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা
এলাকাভিত্তিক আধিপত্য ফিরে পেতে গড়ছে নতুন গ্রুপ
ঘটছে সহিংসতা
নির্বাচনের মাঠ নিয়ন্ত্রণে নিতে আবারও রাজধানীতে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তত্পরতা বেড়ে গেছে। এসব শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে বেরিয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডে তাদের পুরোনো আধিপত্য ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। নতুন গ্রুপ গঠন করে একেক এলাকা একেক জনের নিয়ন্ত্রণে রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
রাজধানীর বাড্ডা, খিলগাঁও, শাজাহানপুর, মতিঝিল, গুলশান, সবুজবাগ, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, আদাবর, তেজগাঁও, মহাখালী ও পল্লবী এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দাপট বেড়ে গেছে। আবার বিদেশে আত্মগোপনে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও দেশে ফেরার চেষ্টা করছে। এদের মধ্যে মিরপুরের শাহাদত, রামপুরার জিসান, পল্লবীর মোক্তার, বাড্ডার মেহেদি, গুলশানের সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, মোহাম্মদপুরে কালা মনির ও শাজাহানপুরের ফ্রিডম মানিক দেশের দাগী চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে। বিদেশ থেকে তারা মোবাইল ফোনে এসব সন্ত্রাসীর সঙ্গে কথোপকথন চালাচ্ছে। সূত্র: ইত্তেফাক
ভেনামি জাত ও ক্লাস্টার পদ্ধতি সাফল্য আনবে চিংড়ি চাষে
বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি খাতে আগে ইলিশের পরেই ছিল চিংড়ির অবস্থান। কিন্তু গত কয়েক বছরে ভাইরাসের আক্রমণ আর চাষজনিত নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে চিংড়ি হারিয়ে ফেলেছে সেই সুদিন। এ খাতে সাত নম্বরে পিছিয়ে যাওয়া চিংড়িকে আবারও আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে চলছে গবেষণা। চিংড়িচাষিদের তাই চোখ মৎস্য কর্মকর্তাদের দিকে। কর্মকর্তারা বলছেন, বদলে যাওয়া জলবায়ু আর চাষাবাদ মাথায় রেখে শুধু প্রকৃতির ওপর নির্ভর না করে মিশ্র বা আধুনিক প্রক্রিয়ায় চাষাবাদ করা উচিত। তাই এখন ভেনামি জাত ও ক্লাস্টার পদ্ধতিই চিংড়ি চাষে আনবে সাফল্য।বাংলাদেশে বেশ সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে আশির দশক ধরে আলোচনায় রয়েছে মৎস্য খাত। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে এ খাতে বেশ দ্রুত উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মাছ মারা যাওয়া, চিংড়ি প্রক্রিয়ার খরচ বেড়ে যাওয়াসহ বেশ কিছু কারণে ধুঁকছে এই সম্ভাবনাময় খাতটি। সেই সঙ্গে নতুন জাতের চিংড়ি, আধুনিক ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চাষসহ চিংড়ির নতুন বাজার সৃষ্টির কারণে সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে চিংড়ির বাজার ঘিরে।সরেজমিন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন ঘেরগুলো ঘুরে দেখা যায়-সূত্র: দৈনিক বাংলা।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা, তাৎক্ষণিক নামতে প্রস্তুত আর্মড পুলিশ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর এক দফা আন্দোলন কর্মসূচির কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করছে পুলিশ বাহিনী। এ কারণে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক মোতায়েনের জন্য আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) দল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে সদর দপ্তর।২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত এক মাসের জন্য এপিবিএনের ৩৫০ জনের দল প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয় এপিবিএন সদর দপ্তর থেকে। নির্দেশনায় এপিবিএন দলের দায়িত্ব পালনের জন্য জ্বালানি, চালকসহ প্রয়োজনীয় যানবাহন এবং লজিস্টিকস প্রস্তুত রাখতেও বলা হয়েছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
অতীত বঞ্চনার আগামী সম্ভাবনার
যে শহরে উপমহাদেশের প্রথম টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও দেশের আমদানি-রপ্তানির ৯২ শতাংশ কার্যক্রম হয়, সেই শহরে ৫৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের একটিরও প্রধান কার্যালয় নেই। বাণিজ্য ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের সরকারি সিদ্ধান্তের জন্য ব্যবসায়ীদের ঢাকায় দৌড়াতে হয়। সে কারণে একসময় অনেক বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে থাকলেও এখন আর নেই। বাণিজ্যিক রাজধানী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকলেও বন্দরনগরী ক্রমেই জৌলুস হারাচ্ছে। যদিও চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী ঘোষণা করার কথা হয়েছিল।সাগর-নদী-পাহাড়ের চট্টগ্রাম শহরে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়বে কি, নালায় পড়ে মারা যায় মানুষ। সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বৃষ্টি ছাড়াও নালা আটকে গুরুত্বপূর্ণ জিইসি মোড়ে দুদিন রাস্তায় পানি জমে থাকে। পাহাড় কাটা, সবুজ বিনাশ, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পুকুর ও জলাশয় ভরাটের মাধ্যমে চট্টগ্রাম যেমন প্রাকৃতিকভাবে শ্রীহীন হয়ে পড়ছে, তেমনিভাবে অর্থনৈতিকভাবেও পিছিয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি জেরিনা হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছার অভাব কিংবা তাদের অবহেলাও হতে পারে। এ শহরের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। একটি শহরের নাগরিক সুযোগ-সুবিধাগুলো দিন দিন তলানিতে চলে যাচ্ছে। আমাদের কর্তৃপক্ষগুলো চেয়ারে বসে কিছুই করতে পারছে না। অপরিকল্পিত উন্নয়নের বলি হচ্ছে চট্টগ্রাম।’ সূত্র; দেশ রুপান্তর
ঢাকায় মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুতের তার নেয়া যায়নি তিন বছরেও
সম্প্রতি বাংলাদেশের ঢাকায় জলাবদ্ধ রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনসহ মোট চার জন নিহত হয়েছে। তবে বেঁচে গেছে ওই পরিবারের সাত মাস বয়সী এক শিশু। এ সম্পর্কিত ছবি ও ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন বিবিসি বাংলাকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এরইমধ্যে একটি মামলা হয়েছে। এর অভিযোগে বলা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা কারো অবহেলার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।মি. মহসীন বলেন, “বিদ্যুৎ-টা কোথা থেকে আসছে সে বিষয়ে এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে।”পুলিশ বলছে, বৃহস্পতিবার রাতে ঝিলপাড় বস্তির বিপরীত পাশের রাস্তা দিয়ে চার জনের একটি পরিবার যাওয়ার সময় পানিতে পড়ে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা এক জন তাদের উদ্ধার করতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাদের হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক চার জনকে মৃত ঘোষণা করে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।