চট্টগ্রামে টানেল উদ্বোধন : প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মানুষের ঢল

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২৩

দেশে পদ্মা সেতুর পর এবার দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গে সুড়ঙ্গ দিয়ে খুলছে আরেক দুয়ার। নাম তার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। শনিবার (২৮ অক্টোবর) সাড়ে ১১টায় গর্বের এই স্থাপনা উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আজকের জনসভায় মানুষের ঢল নেমেছে। ইতোমধ্যে কেইপিজেড মাঠে উপস্থিত হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখো মানুষ।

শনিবার সকাল ৭টা থেকে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে ঢুকতে শুরু করেছেন। এর আগে ভোরেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের জেলা থেকে বাস-ট্রাক-পিকআপসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা যাত্রা শুরু করেন। কেউ কেউ আগেভাগে এসেই আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলায় অবস্থান নিয়ে সকালে জনসভায় প্রবেশ করেছেন।

দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী ও বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলার মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটি ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত। টানেলটি আগামী সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বহু প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধনের জন্য চট্টগ্রামের পাশাপাশি সারাদেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও মঞ্চে থাকবেন। অনুষ্ঠানস্থলে নৌকার আদলে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

চৌধুরী বলেন, সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ অনুষ্ঠানস্থলে স্যানিটেশন ও পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে এবং নারীদের নির্বিঘ্নে অংশগ্রহণের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হবে।

Nagad

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দশ লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণে আমাদের জনসভা বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল শুধু চট্টগ্রামের জন্য নয়, সমগ্র জাতির জন্য গর্বের বিষয়। লাখ লাখ মানুষের জন্য বিশেষ করে বাণিজ্যিক রাজধানী এবং বন্দর নগরীর বাসিন্দাদের একটি ‘স্বপ্ন সত্যে পরিণত’ হলো। বহুল প্রত্যাশিত মাল্টিলেন আন্ডারওয়াটার এক্সপ্রেসওয়ে টানেলটি দক্ষিণ এশিয়ার এ ধরনের প্রথম টানেল এবং এই অঞ্চলের একটি প্রধান নদী কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত হয়েছে।

অনুষ্ঠান মঞ্চ প্রাঙ্গণে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্য, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যা) ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং এসএসএফ সদস্যরা জনসভাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন।