বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
সরকারের নতুন যাত্রাপথ সহজ হবে না-বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন- নানা বাধা-বিপত্তি আসবে। তবে সেসব বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, নানা ধরনের অপকর্ম করে তারা (বিএনপি-জামায়াত) এবারের নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় কথা হলো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গেছে এবং ভোট দিয়েছে।


টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে ৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সবচেয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, এবারের নির্বাচন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরকারি বাসভবন গণভবনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এদিন গণভবনে নিজের জন্মস্থান ও নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগসহ দলের অন্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা। নেতাকর্মীদের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে গণভবনের উন্মুক্ত চত্বর। এসময় নিজের নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন সরকারপ্রধান।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টুঙ্গিপাড়ার মানুষ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশসেবা করার সুযোগ পাচ্ছি। গত নির্বাচন নিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র ও বাধা-বিপত্তি ছিল। বিরোধিতা সত্ত্বেও ৭৫ পরবর্তীকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনৈতিক নানা সংকট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে।
তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের যেসব উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে, তার গুণগতমান ঠিক রেখে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি
চেয়ারম্যান-মেম্বারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক প্রকল্প দিই, কাজ করি। সেই কাজগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়। মানুষ যেন গালি না দেয়। কাজ দেখে যেন মানুষ আস্থা-বিশ্বাস আনতে পারে। এ আস্থা-বিশ্বাস সবচেয়ে বেশি দরকার।