‘চমেবির স্থাপনা প্রকল্প’র পরিচালক হলেন উপাচার্য ডা. ইসমাইল খান
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। সেই প্রকল্পের পরিচালক হলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চমেবি) উপাচার্য ডা. মো. ইসমাইল খান। তিনি উপাচার্য পদের দায়িত্বে সাথে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এই প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।


যেখানে বলা হয়েছে-অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান (১৩৭৯২) উপচার্য, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-কে‘ চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) স্থাপন-শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রধান করা হলো।
এ দায়িত্ব পালন কালে তিনি সরকারি প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী আর্থিক সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রকল্প অনুমোদন সম্পর্কে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু কন্যার আন্তরিকতায় বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসী দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ প্রদান করার দিকে এগিয়ে গেল। আমি এই প্রকল্প কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আন্তরিকতার সাথে আমি আমার দায়িত্ব পালন করব।
জানা যায়-অনুমোদিত এই প্রকল্পের মধ্যে ১৫ তলা হাসপাতাল ভবন ১টি, প্রশাসনিক ভবন ১টি, একাডেমিক ভবন এবং ডিনস অফিস ১টি, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, ক্যাফটেরিয়া, টিএসসি, প্রার্থনা কক্ষ, কনভেনশন হল এবং টিচার্স ক্লাব/লাউন্জ ১টি, বিআইটিআইডি হাসপাতাল ভবনের ৫ তলা হতে ১০ তলা উর্ধমুখী ৬টি ফ্লোর সম্প্রসারণ ১টি।
এছাড়াও দ্বিতল ভিসি বাংলো ১টি, ১৫ তলা প্রোভিসি, ট্রেজারার, ডক্টরস এবং অফিসার্স কোয়াটার ১টি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুরুষ ছাত্রদের হোস্টেল ও মহিলাদের জন্য ছাত্রী হোস্টেল, আইএচটি শিক্ষার্থী ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথক হোস্টেল ও নার্সেস ডরমিটরি যার সবকটি ১৫ তলা ভবন।
উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২০০ বেডের হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসকদের পোস্টগ্র্যাজুয়েট কোর্স চালুর লক্ষ্যে ১০টি ফ্যাকাল্টিসহ ৬৯টি চিকিৎসা বিভাগ থাকবে। এই ১৮৫০ কোটি টাকার প্রজেক্টটি চার বছরের মধ্যে শেষ হবে বলেও জানা গেছে।