ভারতে বসে শেখ হাসিনার বিবৃতি, পছন্দ নয় অন্তর্বর্তী সরকারের

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৫২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২৪

সংগৃহীত ছবি

ভারতে বসে শেখ হাসিনার বিবৃতি দিলে তা দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন-শেখ হাসিনার বিবৃতির বিষয়টি আমি ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে বলেছি। তবে রাষ্ট্রদূতের পক্ষে এর উত্তর দেওয়া সম্ভব না। এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমি নিশ্চিত তিনি এটা সদর দপ্তরে জানাবেন।

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, আইন মন্ত্রণালয় বললে আমরা তাকে ফেরত আনবো। না হলে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে কিছু করার নেই।

তিনি বলেন, দু’দেশের সরকার আন্তরিক হলে সীমান্তে মানুষ হত্যা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব। আমি যখন মুক্ত মানুষ ছিলাম তখন প্রচুর লিখেছি, সেটা আমার বিশ্বাস। আমরা চাইলে এটা পারি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে সরকারই আসুক না কেন চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সুসম্পর্ক থাকবে। চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখলে পরবর্তী প্রজন্ম বেনিফিটেড হবে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, অন্তর্বতী সরকারের রূপরেখা সম্পর্কে বিদেশি কূটনীতিকরা জানতে চেয়েছেন। তাদের জানিয়েছি, প্রয়োজনের চেয়ে একদিনও বেশি থাকবে না এই সরকার।

Nagad

সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলার ঘটনায় ভারতীয় গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন করার বিষয়টি দেশটির দূতকে স্মরণ করিয়ে দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এখানে কিছু ঘটনা ঘটেছে সেটা আমরাও তদন্ত করছি। কারও ওপর হামলা এ সরকার বরদাশত করবে না। যেগুলো হয়েছে, প্রত্যেকটি তদন্ত করে যাদের দোষী পাওয়া যাবে, বিচারের আওতায় আনা হবে। এটুকু আমি ভারতীয় হাইকমিশনারকে বলেছি। তাকে বলেছি, ভারতীয় গণমাধ্যম এটাকে অতিরজ্ঞিত করছে। এটা তাদের করা উচিত নয়।

সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একটি বিবিৃতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট প্রকাশ করেছে। সেই বিবৃতিতে শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিদেশি শক্তিগুলোর হাত রয়েছে। যদিও শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিকে ভুয়া আখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, তার মা এমন কোনো বক্তব্য দেননি।