অনলাইন-অফলাইনে আওয়ামী প্রোপাগান্ডা মেশিন সক্রিয়: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, অনলাইন-অফলাইনে আওয়ামী প্রোপাগান্ডা মেশিন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তারা পরিকল্পিতভাবে বিএনপি সেজে এনসিপিকে, আবার এনসিপি সেজে বিএনপিকে আক্রমণ করছে। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ এমনকি হাতাহাতি পর্যন্ত হচ্ছে।
শনিবার (৩ মে) বরিশাল প্রেস ক্লাবে এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বরিশাল বিভাগের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।


ফুয়াদ বলেন, নির্বাচন, সংস্কার ও বিচারের প্রশ্নে কোনো সাংঘর্ষিক বাস্তবতা নেই। এগুলোর সমন্বয়েই গঠিত হচ্ছে গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট। গত ১৭-১৮ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে যারা নির্বাচনের দাবি করে আসছে, তারাই আজ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষ শক্তি।
তিনি বলেন, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতায় যেতে চাওয়ার দাবি যৌক্তিক। এটি বারবার দাবি করাও ন্যায়সংগত। কিন্তু এমন দাবিকে ট্রল করা বা হেয় করা সম্পূর্ণ অনৈতিক।
রাষ্ট্রের বহুমুখী দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেন, “রাষ্ট্র দেবী দুর্গার দশ হাতের মতো—একসঙ্গে বহু কাজ করার সক্ষমতা রাখে। উন্নয়ন, সুরক্ষা, চিকিৎসা, শিক্ষা—সব কিছুই সমান্তরালভাবে রাষ্ট্রের করতে হবে।”
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রস্তাবিত সময়সীমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত ডেডলাইন যথেষ্ট যৌক্তিক। আন্তর্জাতিকভাবে তিনি যে অঙ্গীকার করেছেন, তা থেকে সরে আসবেন—এমন সন্দেহ করার কারণ নেই। আমরা তাঁর রোডম্যাপের ওপর ভরসা রাখতে চাই।”
গণসংলাপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে নিয়মিত রাজনৈতিক সংলাপ হওয়া উচিত, যাতে ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়।
সমাবেশে ফুয়াদ আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর বিভাজন আমরা চাই না, দেশের মানুষও তা চায় না। তারা দিল্লি ও আওয়ামী লীগের সাপেক্ষে সকল বিরোধী শক্তিকে একত্রিত দেখতে চায়। তবে রাজনৈতিক বৈচিত্র্য থাকবে, মতের ভিন্নতা থাকবে—তবে তা সহনশীলতার ভিত্তিতে হতে হবে। সম্মানহানিকর বা অসহনশীল আচরণ গণতন্ত্রে চলতে পারে না।”