কুমিল্লায় নারী উদ্যোক্তা মেহেবুবাকে নিয়ে অপপ্রচার, থানায় অভিযোগ

কুমিল্লায় নারী উদ্যোক্তা ও সার্টিফাইড শেফ ও ট্রেইনার মেহেবুবাকে নিয়ে অপপ্রচার করায় থানায় অভিযোগ করেছেন নারী উদ্যোক্তা। বিভিন্ন মাধ্যমে সাক্ষী ও মেহেবুবাকে হুমকী ধমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা। এ বিষয়ে রোববার (১৪ আগস্ট) বিকালে নিজ বাসা মোগলটুলিতে সংবাদ সম্মেলন করেন এই নারী উদ্যোক্তা।

মেহেবুবা মাকসুদ স্মৃতী জানায়, বেশ কিছু দিন ধরেই তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি চক্র। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার ও মানহানিকর বক্তব্য তার ব্যবসার জন্য বিশাল ক্ষতি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ বিষয়ে গত ৯ আগস্ট কুমিল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করা হয়, জান্নাতুল আহসান, নাজনীন নীলা, সৈয়দা সাজিদা ও নুসরাত জাহান গনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছি যে, আমি পেশায় একজন নারী উদ্যোক্তা। আমার প্রতিষ্ঠান সুনেহেরাজ ক্রিয়েশনস্ নামীয় বেকিং ও কুকিং ট্রেনিং সেন্টার নামীয় প্রতিষ্ঠানটি দক্ষতা ও সুনামের সাথে দীর্ঘ দিন যাবত পরিচালনা করিয়া আসিতেছি।

বিবাদীরা আমার প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প মেয়াদী ট্রেনিং নিয়া বর্তমানে নিজেরা কাজ করছে। তাহাদের কাজে অনেক ত্রুটি আছে। আমি তাহাদেরকে আমার শিক্ষার্থী হিসেবে উপদেশ দিলে তাহারা মান্য করে না উল্টা আমার নামে বাজে মন্তব্য করে। বিবাদীরা আমার প্রতিষ্ঠান থেকে অসম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ নিয়া বর্তমানে নিজেদের নামে প্রতিষ্ঠান বানিয়ে বিভিন্ন মেয়েদেরকে ভুল প্রশিক্ষণ দিয়া অনুমোদন হীন প্রতিষ্ঠানের নামে সার্টিফিকেট দিয়া আসিতেছে।

বিবাদীরা সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি ব্যবহার করিয়া ও লাইভে আসিয়া আমার নামে বাজে মন্তব্য করে ও বাজে কথা বার্তা বলিয়া আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম খ্যাতি নষ্ট করিতেছে। বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজশে আমার প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে তাহাদের গ্রুপে অংশগ্রহণ করাইয়া আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাইতেছে।

আমি বিবাদীদের সাথে যোগাযোগ করিলে তাহারা আমার সাথে খারাপ আচরণ করে ও উল্টা আমাকে হুমকি ধমকি দেয়। আমি বুঝতে পারি যে, বিবাদীরা অসৎ উদ্দেশ্যে আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম খ্যাতি নষ্ট করার জন্য আমার নামে বাজে মন্তব্য করিয়া আমার সম্মানহানি করিতেছে।

আমি আমার ফেইসবুক বন্ধুদের নিকট থেকে জানাতে পারি যে,আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যাহার স্রিনশট আমার নিকট সংরক্ষিত। আমি বুঝতে পারি যে, বিবাদীরা উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে তথ্যপ্রযুক্তি অপব্যবহার করিয়া আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানীকর বাজে মন্তব্য করিয়া আমাকে সমাজে হেয় করিতেছে।

বিবাদীদের এহেন অপরাধমূলক আচরণ ও হুমকি ধমকিতে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমি আশংকা করিতেছি যে, বিবাদীদের দ্বারা আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের অপূরণীয় ক্ষতি হইতে পারে। এ ব্যাপারে আমি আমার আত্মীয় স্বজনদের সাথে আলোচনা করিয়া তাহাদের পরামর্শ মতো আপনার থানায় অভিযোগ দায়ের করিলাম।

তিনি আরও বলেন, এধরনের বিশ্রী কাজ যারা করছে তারা কুমিল্লায় নারীদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে। নতুন প্রজন্ম এখন আর এই পেশায় আসতে চাইবে না। আমি আমার কাচের মাধ্যমে কুমিল্লাকে তুলে ধরি।

বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলেই আমার স্টুডেন্ট আছে। তারা আজ স্বাবলম্বী। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমার কয়েকজন ছাত্রীও এসকল অপকর্মের সাথে জড়িত। আমি মানুষিক ভাবে প্রচণ্ড চাপ অনুভব করছি। হয়ত অসুস্থ হয়ে পরব ।আমি প্রশাসনের কাছে এই অপকর্মের বিচার দাবী করছি।