চা-শ্রমিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় ৩ সেপ্টেম্বর
দেশের চা শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এইচা-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত শনিবার (২৭ আগস্ট) চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয় এবং আনুপাতিক হারে অন্যান্য ভাতাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস জানান, বাগান মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে। তিনি শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি সর্বনিম্ন ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। দৈনিক মজুরির সঙ্গে বোনাস, বার্ষিক ছুটি ভাতা আনুপাতিক হারে বাড়বে। বেতনসহ উৎসব ছুটি আনুপাতিক হারে বাড়বে। অসুস্থতাজনিত ছুটির টাকা ও ভবিষ্যৎ তহবিলে নিয়োগকর্তার চাঁদা আনুপাতিক হারে বাড়বে। বার্ষিক উৎসব ভাতাও আনুপাতিক হারে বাড়বে। সব মিলে শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি পাবে ৪ শ থেকে ৫ শ টাকা।
মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণার পরদিন রোববার সরকারি ছুটি থাকলেও সকাল থেকে চা বাগানে কাজে যোগ দিয়ে শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য গত শনিবার (২৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা বাগান মালিকদের বৈঠকে শ্রমিকদের মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করা হয়। পাশাপাশি বাড়তি চা পাতা তোলা, উৎসব বোনাসসহ অন্যান্য সুবিধা আনুপাতিক হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ অগাস্ট থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন দেশের ২৪১টি চা বাগানের প্রায় সোয়া লাখ শ্রমিক। প্রথম চারদিন শ্রমিকরা প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। ১৩ অগাস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা। টানা ধর্মঘটের মধ্যে ২০ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে মজুরি বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার ঘোষণার পর বেশির ভাগ শ্রমিক এ মজুরি না মেনে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।
আন্দোলনের ১৯তম দিন ২৭ অগাস্ট গণভবনে চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ)সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের পর নতুন মজুরির ঘোষণা আসে। এরপর শ্রমিকরা নিজ নিজ বাগানে কাজে ফিরেছেন।