আবেগে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী, তাপস ও পরশকে কাছে ডেকে কেঁদেই দিলেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২২

শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনায় ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সেদিনকার ভয়াবহ স্মৃতির বর্ণনা দেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাঁচ বছরের পরশ, তিন বছরের তাপস। বাবা-মায়ের লাশ পড়ে আছে। দুটি বাচ্চা বাবা-মায়ের লাশের কাছে গিয়ে চিৎকার করছে। বাবা ওঠো, বাবা ওঠো..। মা ওঠো, মা ওঠো…। সেদিন কেউ সাড়া দেয়নি।’

এভাবেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে নিহত শেখ ফজলুল হক মনি ও তার স্ত্রী আরজু মনি হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিচারণ করেন কেঁদে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী দুই ভাই শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপসকে মঞ্চে আসতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের আদরমাখা কণ্ঠে বলেন ‘আয় আমার কাছে আয়।’এ সময় দুই ভাই মঞ্চে এসে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন।তখন পুরো সভাস্থলে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করেন পরশ।

তাদের উদ্দেশে কাঁদতে কাঁদতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে ওরা বড় হয়ে গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি তার মিলিটারি সেক্রেটারি কর্নেল জামিল, যিনি ছুটে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতিকে বাঁচাতে, কিন্তু পারেননি। তাকেও ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

প্রসঙ্গত, শেখ ফজলুল হক মনি ও আরজু মনি দম্পতির দুই সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপস। পরশ বর্তমানে যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে। আর শেখ তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র।

Nagad

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচির সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তৃতা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন রুহুল, সাদেক খান, আব্দুল কাদের খান, শহীদ সেরনিয়াবাত প্রমুখ।

সারাদিন.৩০ আগস্ট. আরএ