ঝিনাইদহে ৪০ গ্রামের হাজারো মানুষের দুর্দশার খোঁজ কেউ রাখে না

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ১:৫৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২২

দুর্ভোগ দুপাড়ের প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষের । জনম জনম, প্রজন্মের পর প্রজন্মের বছরের পর বছর প্রতিদিনের কষ্ট । বলছি কুমার নদে আড়–য়াকান্দি ঘাটের গল্প । ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার কুমার নদের দুই পাড়ের বাসিন্দাদের দুর্দশা লাঘবে আজো কেউ এগিয়ে আসেনি। অথচ বছরের পর বছর দুই পাড়ের মানুষগুলো এই ঘাটে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন।

জানা যায়, ঘাটের ৬ কিলোমিটারের মধ্যে নেই কোনো সেতু। তাদের একমাত্র ভরসা আড়–য়াকান্দি-বিষ্ণুদিয়া ঘাটের এই খেয়া নৌকা। এই নদের উপর শৈলকুপা উপজেলা শহরে দুইটি সেতু রয়েছে। আর ১২ কিলোমিটার দূরত্বে হাটফাদিলপুর রয়েছে আরেকটি সেতু। মাঝে আড়–য়াকান্দি ও বিষ্ণুদিয়া নামক স্থানে অর্ধশত বছর ধরে চলছে খেয়া নৌকায় পারাপার।

আড়–য়াকান্দি গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, যে স্থানে খেয়াঘাটটি রয়েছে তার দুই পাশের গ্রামগুলোতে হাজার হাজার মানুষ বসবাস করেন। নদীর উত্তরে বিষ্ণুদিয়া, দামুকদিয়া, মাধবপুর, দোহা-নাগিরাট, শিতালী, দলিলপুর, কমলনগর, বগুড়া, লাঙ্গলবাঁধ, নন্দিরগাতি, ধাওড়া, ধলহরাচন্দ্র, বরিয়া, ছাঁইভাঙ্গা, কুশবাড়িয়াসহ বেশকিছু গ্রাম রয়েছে। আর দক্ষিণে রয়েছে আড়–য়াকান্দি, রয়েড়া, ভান্ডারীপাড়া, বকশীপুর, শেখড়া, গোপালপুর, বাগুটিয়া, নাকোইল, ফলিয়া, রঘুনন্দনপুর, আশুরহাট, নিত্যানন্দপুর, সাবাসপুর ও হাটফাজিলপুর।

স্থানীয় জামির হোসেন জানান, এই খেয়া ঘাটকে ঘিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আড়–য়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উমেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উমেদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উমেদপুর বালিকা বিদ্যালয়, বাগুটিয়া জরিপ বিশ্বাস কলেজ ও বিষ্ণুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আরো গড়ে উঠেছে সীমান্ত বাজার, নাগিরহাট বাজার, রয়েড়া বাজার, বকশিপুর বাজার ও শেখরা বাজার। এতো কিছুর পরও তাদের এলাকার মানুষের একটাই কষ্ট কুমার নদ এর উপর সেতু না থাকা। অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়ে তাদের ও তাদের ছেলে-মেয়েদের এই ঘাটে খেয়া পার হতে হয়। এ

বিষ্ণুদিয়া গ্রামের তুহিন রেজা জানান, জনপ্রতি ৫ টাকা করে নেন মাঝি। নৌকার একটু বেশি যাত্রী না হলে ছাড়ের না।

খেয়া ঘাটের মাঝি দবির উদ্দিন জানান, শুধু আয়ের জন্য নয়, জনসাধারনকে পারাপার করতে পেশাটা ধরে রেখেছেন। সরকারি ভাবে এই খেয়া ঘাট বন্ধোবস্ত দেওয়া হয় না। এভাবে প্রতিদিন ৩/৪ শত টাকা আয় হয়, যা দিয়ে কোনরকমে সংসার চালান।

Nagad

এ বিষয়ে এলজিইডি’র ঝিনাইদহ নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন জানান, সেতু নির্মানের আপাতত কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। তবে বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখবেন।