প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২

নয়াদিল্লি সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থল হোটেল ‘আইটিসি মৌরিয়া’র মিটিং রুমে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি পৌঁছায়।

এর আগে, সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।

নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় সেখানে ছয় থেকে সাত সদস্যের একটি সাংস্কৃতিক দল স্বাগত নৃত্য পরিবেশন করে এবং বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়।

এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।

Nagad

করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের আগে ২০১৯ সালে তার সর্বশেষ সফরের পর ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর তার ভারত সফরের সময় বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে ৬ সেপ্টেম্বর, হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং একান্ত বৈঠক করার কথা রয়েছে। পরে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

এদিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা। একই দিনে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও তার দেখা করার কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের তৃতীয় দিনে ৭ সেপ্টেম্বর, শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী।

সফরের চতুর্থ দিনে ৮ সেপ্টেম্বর, ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের খাজা গরিব নওয়াজ দরগাহ শরিফ, আজমির (আজমির শরিফ দরগাহ) পরিদর্শন করবেন।

ঢাকার কূটনীতিকরা আশা করছেন, এ সফরে দুদেশের মধ্যে এমন কিছু পারস্পরিক সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বা নীতি নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এ সফরে সরকারপ্রধান পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি যেসব শীর্ষ বৈঠক হবে, সেখানে উভয়পক্ষের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে। যার মধ্যে থাকবে অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন ও ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, উন্নয়ন সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগের বিষয়ও। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদির পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান অস্থিতিশীলতা ও ক্ষতিগ্রস্ত সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে।