ইবির হলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, ক্যাম্পাসে আতঙ্ক

ইবি সংবাদদাতাইবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২

সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি আবাসিক হলে বিকট শব্দে থেমে থেমে ৬টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিকট শব্দে ওই বিস্ফোরণের কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ২ টার দিকে ইবি’র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং লালন শাহ হল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আন্তর্জাতিক ব্লকের দক্ষিণ পাশে এবং লালন শাহ হলের দক্ষিণ ব্লকের পাশে ৬টি বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। কিছুক্ষণ পরপর থেমে থেমে এই বিস্ফোরণগুলো ঘটে। এতে বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে হল থেকে বাইরে বের হয়ে আসে।

এদিকে, আওয়াজগুলো ককটেল বিস্ফোরণ বলে দাবি করছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা লাঠি, রড, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসের হলগুলোর সামনে অবস্থান নিতে শুরু করে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা তাদেরকে দিনের বেলায় বিষয়টি দেখবেন বলে জানালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, আমার রুমের পাশে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। সভাপতির ব্লকের পাশেও বিস্ফোরণ হয়েছে। সামনে নির্বাচন উপলক্ষে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি নিজেদের শক্তির জানান দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে সেটা তদন্ত করা ছাত্রলীগের কাজ নয় বরং সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এবং কি উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমরা জানিনা। তবে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং জঘন্য কাজ। এই ঘটনায় ছাত্ররা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

Nagad

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং তদন্তের জন্য পুলিশকে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু রাত ৩টার দিকে সবাই ঘুমিয়ে থাকে এজন্য সকলের সাথে যোগাযোগ করতে একটু দেরি হয়েছে। তবে ঘটনা জানার পরপরই সহকারী প্রক্টররা ঘটনাস্থলে যায়। পরে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইবি থানার ওসিকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে ওসি বিষয়টি তদন্ত করে দেখার পর কোন ক্লু খুঁজে পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

সারাদিন/১৪ সেপ্টেম্বর/এমবি