আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২

মানবাধিকার পরিস্থিতি
বাংলাদেশে গুমের অভিযোগ বেড়েছে
জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সের প্রতিবেদন।

জাতিসংঘের গুমবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে বাংলাদেশে গুমের অভিযোগ বেড়েছে। কমিটির সর্ব সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ২২ মে থেকে এ বছরের ১৩ মে পর্যন্ত এক বছরে কমিটির কাছে আসা বাংলাদেশে গুমের অভিযোগের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮, যা আগে ছিল ৭৬। ওই সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কমিটিকে আটজনের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তথ্য দেওয়া হয়েছে। এখনো ৮১ জনের গুমের অভিযোগের কোনো সুরাহা হয়নি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। জাতিসংঘের ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স’ নামে পরিচিতি গুমবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি গত শুক্রবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আগামী মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদে প্রতিবেদনটি পেশ করা হবে। সূত্র: প্রথম আলো

১৬৫ বাসের রুট বাতিলের সুপারিশ কার্যকর হচ্ছে না

দেশে প্রথমবারের মতো বাসের রুট পারমিট (নির্দিষ্ট পথে চলার অনুমতি) বাতিলের সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। গত বছরের ডিসেম্বরে করা ২৫ প্রতিষ্ঠানের ১৬৫টি বাসের রুট পারমিট বাতিলের সেই সুপারিশ এখনো কার্যকর হয়নি। এমনকি সুপারিশ বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগও নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঢাকার বাসের রুট বাতিলের দায়িত্ব ঢাকা মহানগর আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির (মেট্রো আরটিসি)।পদাধিকারবলে এই কমিটির প্রধান ডিএমপির কমিশনার শফিকুল ইসলাম। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেছেন, রুট বাতিলের কোনো সুপারিশ বিআরটিএর কাছ থেকে পাননি। আর বিআরটিএ বলছে, সুপারিশ নয়, রুট বাতিলের অনুরোধ জানানো হয়েছিল।যদিও গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিআরটিএর এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বাসের রুট বাতিলের সুপারিশের কথা উল্লেখ রয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাসের রুট পারমিট বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা মেট্রো রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কমিটির কাছে এরই মধ্যে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। ’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

লাখ কোটি টাকা খরচেও রেলে লোকসানের রেকর্ড

রেলের উন্নয়নে গত ১৩ বছরে সরকারের খরচ হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা। হয়েছে নতুন রেলপথ, কেনা হচ্ছে বগি ও ইঞ্জিন। তারপরও ২০২১-২২ অর্থবছরে লোকসানের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিনিয়োগ ফেরত দূরে থাক, ট্রেন চালানোর খরচের অর্ধেকও তুলতে পারেনি। গত অর্থবছরে রেলে সরকারের খরচ হয় ১৬ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে রেলপথ নির্মাণ ও বগি-ইঞ্জিন কেনায় বিনিয়োগ ১২ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা, যার বড় অংশই বিদেশি ঋণ। ট্রেন চালানোর খরচ তথা পরিচালন ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৭৬২ কোটি। বিপরীতে আয় ১ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। রেকর্ড ২ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা লোকসান। আয়ের লক্ষ্য ছিল ২ হাজার ৫২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সূত্র: সমকাল

Nagad

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন
খাদ্য মূল্যস্ফীতির বড় ঝুঁকিতে সব দেশ
বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৮.২ শতাংশ

বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ কারণে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বের প্রায় সব দেশই খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ার বড় ঝুঁকিতে রয়েছে। স্বল্প, মধ্য ও উচ্চ আয়ের সব দেশেই খাদ্য মূল্যস্ফীতির আঘাত আসতে পারে। এর মধ্যে ৪৫টি দেশের ২০ কোটি ৫১ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগবে এবং ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। সোমালিয়ার উপকূলবর্তী তিনটি অঞ্চলে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রবল খাদ্য সংকটের কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ব্যবস্থাপনার এ ভয়ানক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দেশ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সে তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, করোনার সময়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন কম হওয়া ও সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্যোৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও কৃষি উপকরণের সংকটের কারণে খাদ্য উৎপাদন কমেছে। একই সঙ্গে সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় খাদ্যের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এতে সার্বিকভাবে খাদ্য উপকরণের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে কমেছে সুষম সরবরাহ। যার প্রভাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশে খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। এতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হারও বাড়ছে লাগামহীনগতিতে। কোনো কোনো দেশে এই হার গত ৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২১টি দেশ ৩০ ধরনের খাদ্য উপকরণ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

উসকানি থামছে না মিয়ানমারের
সীমান্তের ওপারে চলছে গোলাগুলি, স্থানীয়রা আতঙ্কে, ৭০ পরিবার সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা সতর্ক বিজিবি, রাষ্ট্রদূতকে তলব, রাখাইনে জাতিসংঘের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জান্তা সরকারের

সীমান্তে মিয়ানমারের উসকানি যেন থামছেই না। গতকালও কক্সবাজারের উখিয়ার পার্শ¦বর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সারা রাত ভয়ে ঘুমাতে পারেনি সীমান্ত এলাকার মানুষ। আতঙ্কগ্রস্ত অনেকেই গত রাতে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। অন্যান্য দিনের তুলনায় গতকাল সবচেয়ে বেশি গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সীমান্ত এলাকার ৭০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পরিস্থিতি সামলাতে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে আজ তলব করেছে। অন্যদিকে, শনিবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ইউএনও সালমা ফেরদৌস। গত শুক্রবার রাতে মর্টার শেলের আঘাতে নিহত রোহিঙ্গা ইকবালের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন বলে উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

বিআরটি স্টেশনের নকশাগত দুর্বলতা
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে স্থায়ী রূপ নিতে পারে যানজট

বিদ্যমান সড়কের মাঝের সাত মিটার অংশে তৈরি করা হচ্ছে বিমানবন্দর-গাজীপুর বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)। বিশেষায়িত এ লেনে শুধু বিআরটি কোম্পানির বাস চলবে। সাধারণ যানবাহন চলবে দুই পাশের ‘মিক্সড ট্রাফিক লেনে’। নকশা অনুযায়ী, প্রতিটি মিক্সড ট্রাফিক লেনের গড় প্রশস্ততা সাত মিটার। বিআরটি স্টেশন এলাকাগুলোয় এ প্রশস্ততা কমে দাঁড়াবে ছয় মিটারে।

অর্থাৎ বিআরটি রুট-সংলগ্ন সড়কে সাধারণ যানবাহন চলার জন্য সাত মিটার জায়গা থাকলেও স্টেশন এলাকায় তা কমে দাঁড়াবে ছয় মিটারে। নির্মাণাধীন বিআরটি করিডোরের ১৬ কিলোমিটার মাটির সমান্তরাল (অ্যাটগ্রেড) অংশে স্টেশন রয়েছে ১৯টি। চলতে গিয়ে এর প্রায় প্রত্যেকটিতেই বাধাপ্রাপ্ত হবে সাধারণ যানবাহন। এরই মধ্যে বিআরটির স্টেশনগুলো দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। স্টেশন এলাকায় সাধারণ যানবাহন চলার পথ সরু হয়ে যাওয়ায় দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে যানজটও। নকশাগত এ দুর্বলতার কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়কে (এন-৩) যানজট স্থায়ী রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের হিসাবে ঢাকা-মনমনসিংহ মহাসড়কে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার যানবাহন চলাচল করে। গাজীপুর দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল হওয়ায় এখানে চলাচলকারী যানবাহনের একটি বড় অংশ হলো পণ্যবাহী ভারী যান। আবার ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ ঢাকায় আসার ক্ষেত্রেও মহাসড়কটি ব্যবহার করে। ফলে পণ্যবাহী ভারী যানের পাশাপাশি মহাসড়কটিতে যাত্রীবাহী বড় বাসের আধিক্য সবসময় দেখা যায়। অতিরিক্ত গাড়ির চাপে এমনিতেই দিন-রাতের একটা বড় সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর-গাজীপুর অংশে যানজট লেগে থাকে। বিআরটির নির্মাণকাজ এ যানজটকে আরো প্রকট করে তুলেছে। স্টেশনের নকশাগত দুর্বলতার কারণে বিআরটির কাজ শেষ হওয়ার পরেও এ যানজট থেকে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

কোরিয়ার আরএমজি বাজার হাতছানি দিচ্ছে

রপ্তানি বাজার বহুমুখীকরণ করতে চাইছে বাংলাদেশের পোশাক খাত। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশের পোশাক খাতের লক্ষ্য এখন দক্ষিণ কোরিয়ার সাড়ে ১০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক বাজারের একাংশ ধরা।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার পোশাক বাজারের মোট চাহিদার ৩৪ শতাংশ মেটায় চীন। কিন্তু ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে চীনের পোশাক উৎপাদন কমছে। ফলে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সামনে এখন কোরিয়ার বাজার ধরার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, অন্তর্বাস, ডেনিম, শার্ট, জ্যাকেট ও পুলওভারের মতো বৈচিত্র্যময় আইটেমে ভর করে কোরিয়ায় পোশাক খাতের রপ্তানি চলতি অর্থবছরে ১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করছে তারা। অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক দামে পোশাক সরবরাহ করতে পারে বলে বাংলাদেশ থেকে সোর্সিং বাড়াতে আগ্রহী হয়ে উঠছে কোরিয়ান ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোও। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

স্বাস্থ্য: জ্বর নিয়ে যেসব তথ্য জেনে রাখতে পারেন

হঠাৎ করে জ্বর হওয়ার অভিজ্ঞতা কম-বেশি সবারই রয়েছে। অনেকের জ্বর দুই বা তিন দিন পরে ভালো হয়ে যায়, অনেককে দীর্ঘদিন ভুগতে হয়। জ্বরের কারণে হাসপাতালে ভর্তির অভিজ্ঞতাও রয়েছে কারও কারও। বাংলাদেশে সাধারণত জ্বর হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেয়ে ঘরেই চিকিৎসা নেয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন কোনো কোনো সময় জ্বর মারাত্মক প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, জ্বরের অনেক প্রকারভেদ রয়েছে। কিছু কিছু জ্বর আপনা আপনি সেরে যায়। আবার কিছু কিছু জ্বরের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

জ্বর কী?
শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে শুরু করলে বা উচ্চ তাপমাত্রাকে জ্বর বলা হয়। চিকিৎসকরা বলেন, জ্বর আসলে কোন রোগ নয়, বরং এটি রোগের একটি লক্ষণ বা উপসর্গ। ফলে জ্বর হওয়াকে শরীরের ভেতরের কোনো রোগের সতর্কবার্তা বলা যেতে পারে। অনেক সময় সেটা সর্দিকাশির মতো সাধারণ সংক্রমণের কারণে হতে পারে, আবার অনেক সময় গুরুতর কোনো রোগের উপসর্গও হতে পারে।যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শরীরের ভেতরে যখন কোনো জীবাণু আক্রমণ করে, সেটা ঠেকাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিভিন্ন কোষ থেকে পাইরোজেন নামক এক ধরনের পদার্থ নিঃসরণ করে তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে লড়াই করতে শুরু করে। এ কারণে জ্বরের অনুভূতি হয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

নদী ভাঙন: এবারও ঝুঁকিতে হাজার হেক্টর এলাকা

ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি মিলে পরিবারের ২২ জনকে নিয়ে হঠাৎ করেই আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন মুন্সীগঞ্জের বাংলাবাজার ইউনিয়নের শম্ভু হালদারকান্দি গ্রামের যুগমায়া রানী। সাত দিন আগে যেখানে তাদের ঘর ছিল, সেখানে এখন প্রমত্তা পদ্মা। যুগমায়ার মতো প্রায় ৩০০ পরিবার এখন ভিটে-মাটি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে কিংবা অন্য গ্রামে স্বজনদের আশ্রয়ে দিন কাটাচ্ছেন। গত দেড় মাসে শম্ভু হালদারকান্দি আর পাশের সরদারকান্দি গ্রামের অনেকটাই চলে গেছে পদ্মার গ্রাসে।পদ্মা কেবল মুন্সীগঞ্জে নয়, ফরিদপুরেও গ্রাস করছে জনবসতি, ফসলের জমি। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ভাঙছে ইছামতী আর ধলেশ্বরীর তীর। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার চর পাচুড়িয়ার মানুষকে নিরাশ্রয় করছে মধুমতি। সূত্র: বিডি নিউজ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ‘চিড়েচ্যাপ্টা’ ব্যাচেলররা

চাকরি হোক কিংবা লেখাপড়া- যে কোনো প্রয়োজনেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষকে আসতে হয় ঢাকায়। পরিবারের কাছ থেকে দূরে এসে তাদের অধিকাংশেরই অস্থায়ী আবাস হয় রাজধানীর বিভিন্ন মেস। একসঙ্গে অনেকে থাকার ফলে খরচ কিছুটা কম হওয়ায় এসব ব্যাচেলর মেসে থাকেন। সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মেসে থাকা প্রত্যেকের খাবারের খরচ যেমন বেড়েছে, একই সঙ্গে বেড়েছে সিট ভাড়া (থাকার খরচ)। এই শহরে বসবাস করতে রীতিমতো চিড়েচ্যাপ্টা অবস্থা ব্যাচেলরদের।রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবে পড়াশোনা শেষ করেছেন মালিহা ইয়াসমিন সুমি। পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর চাকরির খোঁজে তাকে এখনো ঢাকায় থাকতে হচ্ছে। পড়াশোনার সময় নিজের খরচ বাবদ প্রতিমাসে পরিবারের কাছ থেকে আট হাজার টাকা নিতেন সুমি। কিন্তু বর্তমানে পরিবার খরচ দিতে অনেকটা অপারগ। জীবনযাত্রার ব্যয়ে এখন বড় কামড় বসিয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। এতে সুমির জন্য চাকরির আশায় ঢাকায় থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।জাগো নিউজকে সুমি বলেন, অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্যের কারণে সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেছে। হুট করে হোস্টেলের সিট-রেন্ট (মাসিক ভাড়া) দেড় হাজার টাকা বেড়ে গেছে। প্রতি মাসে খাওয়ার খরচ বেড়েছে এক থেকে দেড় হাজার টাকা। এখানে মেসে থেকে চাকরির জন্য চেষ্টা করছি। প্রতিমাসে দুই-তিনটা ইন্টারভিউ থাকে, তাতে বাড়তি খরচ। সেজন্য একটি নতুন পোশাকও কিনতে পারছি না। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যেন সব দিকে ঠেকে গেছি। বাড়ি থেকে টাকা চাইলেও আগের মতো পাই না। পরিবার বলে সমস্যা হলে গ্রামে ফিরে যেতে। জীবনযাত্রার এ বাড়তি খরচ এখন আমার স্বপ্নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র: জাগো নিউজ