গুজব উড়িয়ে জনসম্মুখে শি জিনপিং
গ্রেপ্তার ও সেনা অভ্যুত্থানের গুজব উড়িয়ে জনসম্মুখে এসেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এই খবর জানিয়েছে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সাংহাই কো-অপারেশন (এসসিও) সম্মেলনে অংশ নিতে উজবেকিস্তানে যান শি জিনপিং। তবে উজবেকিস্তান থেকে ফেরার পর থেকে তাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। এতেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে চীনের প্রেসিডেন্টকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত সম্মেলন থেকে দেশে ফেরার পর জনসম্মুখে আসেননি চীনের প্রেসিডেন্ট। এতে বেইজিংয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের অসমর্থিত গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
ধারণা করা হয়, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সিনিয়র নেতারা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়ে দিয়ে তাকে গৃহবন্দী করেছেন।
দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, শি জিনপিং উজবেকিস্তান থেকে ফিরেই করোনার আইসোলেশনে চলে গিয়েছিলেন। আইসোলেশনের সময় শেষ হওয়ার পরই তিনি আবারও জনসম্মুখে এসেছেন।
পতনোন্মুখ অর্থনীতি, করোনাভাইরাস এবং বিরল বিক্ষোভের পাশাপাশি তাইওয়ান ইস্যুতে পশ্চিমাদের সাথে তিক্ততা সত্ত্বেও তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করতে যাচ্ছেন শি জিনপিং।
আগামী মাসে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে তৃতীয়বারের মতো পার্টির নেতা হতে যাচ্ছেন শি জিনপিং। এর মাধ্যমে তার প্রেসিডেন্সির সময়ও বাড়ছে।
সম্প্রতি জেনিফার জেং নামে চীনা মানবাধিকার কর্মী টুইটারে লিখেছেন, “পিপলস লিবারেশন আর্মি ২২ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ের দিকে রওনা হয়েছে। হুয়ানলাই কাউন্টি থেকে শুরু হয়ে হুবেই প্রদেশের ঝাংজিয়াকো শহরে শেষ হয়েছে এই কনভয়। শোনা যাচ্ছে, জিনপিংকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। তাকে পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।” এই টুইট নিয়েই জল্পনার ঝড় শুরু হয় আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে।
সারাদিন/২৮ সেপ্টেম্বর/এমবি