ফোনালাপ ফাঁস: থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সাময়িক বরখাস্ত
কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে কথোপকথনের একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) আদালত তার বিরুদ্ধে নৈতিক লঙ্ঘনের অভিযোগ গ্রহণ করে ৭-২ ভোটে বরখাস্তের আদেশ দেয়। তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।


রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় পেতংতার্ন বলেন, ‘আদালতের রায় আমি মেনে নিয়েছি। আমি সব সময় দেশের স্বার্থে কাজ করেছি। ফোনালাপ ছিল কৌশলের অংশ।’
ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপে পেতংতার্ন কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনকে ‘চাচা’ সম্বোধন করেন এবং এক থাই সামরিক কর্মকর্তাকে সমালোচনা করেন। এ ঘটনার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং তার বরখাস্তের দাবিতে একটি আবেদন আদালতে জমা পড়ে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই রায়ের ফলে থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে অস্থিরতা আরও বাড়বে। এমনিতেই পেতংতার্নের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার সংকটে রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে গুরুত্বপূর্ণ এক রক্ষণশীল মিত্র জোট ত্যাগ করায় পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
বরখাস্ত হলে পেতংতার্ন হবেন সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য, যিনি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদচ্যুত হবেন। তার আগে বাবা থাকসিন ও ফুপু ইংলাক সিনাওয়াত্রা একই পরিণতির শিকার হন।
৩৮ বছর বয়সী পেতংতার্ন থাইল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী এবং ইংলাকের পর দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। তবে দুর্বল অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক টানাপোড়েনে তার জনপ্রিয়তা ধসেছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, তার জনপ্রিয়তা নেমে এসেছে মাত্র ৯.২ শতাংশ, যা মার্চে ছিল ৩০.৯ শতাংশ।
পেতংতার্ন সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালে উপ-প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুনগ্রুয়াংকিত ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।