আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২২

বাংলাদেশকে চিঠি
রূপপুরের ঋণের সুদাসল রুবলে চায় রাশিয়া

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়া যে ঋণ দিয়েছে, তার সুদ ও আসল নিজেদের মুদ্রা রুবলে পেতে চায় দেশটি। এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সরকারকে পাঠিয়েছে রাশিয়া।ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর পর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা ও বৈশ্বিক লেনদেনব্যবস্থা সুইফট থেকে রুশ ব্যাংকগুলোকে বের করে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া এই প্রস্তাব দিল।রাশিয়ার প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। তাদের পর্যালোচনা বলছে, চীনের মাধ্যমে এই লেনদেন করতে পারে বাংলাদেশ। তবে রুবলে ঋণের সুদাসল পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যয় ও ঝুঁকি বাড়তে পারে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব উত্তম কুমার কর্মকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার প্রস্তাব পর্যালোচনা করছি। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।’রাশিয়ার চিঠি- পাবনার রূপপুরে বাংলাদেশ যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করছে, তাতে ঋণ ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার। এটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা ২০২৪ সালে। সূত্র: প্রথম আলো

সন্তানদের জন্য প্রাণ কাঁদে তারা ফিরেও তাকায় না
‘আমার সুখের সংসার আল্লে। ঢাহার ভাসানটেকে মুদির দোকান চালাইতাম। তিনডা মাইয়া-পোলা ও বউ লইয়া ভালোই আল্লে দিনকাল। ২০০৬ সালে আচুক্কা ক্যান্সার হইয়া বউডা মইরা গ্যাছে।অনেক চেষ্টা ও টাহা পয়সা ভাইঙাও হ্যারে বাঁচাইতে পারি নাই। হেইয়ার পর আস্তে আস্তে পোলা দুইডাও নষ্ট হইয়া গ্যাল। হেরা দোহানের টাহা মাইরা জুয়া আর মাদকে জড়াইয়া পড়ছে। তহন মাইয়াডারে কোনো রহমে বিয়া দেল্লাম। শেষে দোকানডা ছাইড়া দেতে হইছে। পোলারাও মোরে হালাইয়া অন্য জায়গায় চইল্লা গ্যাছে। তহন মুই অসুস্থ হইয়া যাই, ঘর ভাড়া দেতে পারছি না।একসময় রাস্তার পাশে মোর ঠাঁই মেলে। হেইহান থাইক্কা তুইলা আইনা হেরা আশ্রয় দেয়। এহানে আছি পাঁচ বছর ধইরা। ’ একদমে কথাগুলো বললেন আব্দুল মালেক। বুক ভরা আক্ষেপ মালেকের। কথা যেন শেষ হতে চায় না। ৬৮ বছর বয়স। শেষ বেলার নুয়ে পড়া শরীর এই তিন সন্তানের জনকের। এমন বয়সে আপনজনের মাঝে একটু আরাম-আয়েশে দিন কাটাতে চায় মানুষ। চায় একটু-আধটু সেবা। সূত্র: প্রথম আলো

ঢাকার ৩ কলেজে ছাত্রী হলে ছাত্রলীগের সিট বাণিজ্য
আতঙ্ক যেখানে নিত্যসঙ্গী
নিয়ন্ত্রণ ঘিরে নেত্রীদের কোন্দল; বিঘ্নিত শিক্ষার পরিবেশ * নীরব দর্শকের ভূমিকায় প্রশাসন; বিক্ষুব্ধ সাধারণ ছাত্রীরা * তদন্ত করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় -অধ্যাপক মাকসুদ কামাল

পিরোজপুরের মেয়ে নুসরাত জাহান কেয়া। রাজধানীর ইডেন কলেজের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। ঢাকায় থাকার কোনো জায়গা নেই। ফলে বাধ্য হয়েই থাকেন কলেজের জেবুন্নেছা ছাত্রীনিবাসের ৫০২নং কক্ষে। এ সিটটি প্রশাসনিকভাবেই তিনি পেয়েছেন। এই কক্ষে ওঠার আগে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হন তিনি। তখন ছাত্রলীগের এক নেত্রীর মাধ্যমে তাকে খোদেজা খাতুন ছাত্রীনিবাসে উঠতে হয়।এজন্য শুরুতেই তাকে গুনতে হয় এককালীন ১২ হাজার টাকা। এরপর প্রতি মাসে আরও দুই হাজার টাকা করে দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়। সেটি ছিল ‘পলিটিক্যাল রুম’। কক্ষের পরিবেশ ও নেত্রীদের নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে দুদিনও সেই কক্ষটিতে থাকতে পারেননি তিনি। বাধ্য হয়েই কক্ষটি থেকে নেমে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা শুরু করেন। অনেকদিন পর বহু কষ্টে জেবুন্নেছা ছাত্রীনিবাসে একটি বৈধ সিটের ব্যবস্থা হয় তার। ৪ দিন আগের দুঃসহ সেই দিনগুলো নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন এই ছাত্রী। এরপর থেকেই নানা ধরনের হুমকি-ধমকির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে। কয়েক দফায় তার কক্ষে গিয়ে শাসিয়ে এসেছেন রাজনৈতিক রুমের ‘কতিপয় ছাত্রী’। এ অবস্থায় ভয়ে হলের বৈধ সিটও ছেড়েছেন তিনি। এরপরও অনবরত তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সূত্র: যুগান্তর

সংঘাতপূর্ণ রাজনীতি
যুক্তিতর্কে হোক সমাধান

Nagad

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতি সংঘাতপূর্ণ হয়ে ওঠায় জনমনে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষ করে বড় দুটি দলের মারমুখী অবস্থান নানা অনিশ্চয়তার জন্ম দিচ্ছে। সবার মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে একটি প্রশ্ন- নির্বাচন পর্যন্ত এ হামলা-পাল্টা হামলা, মামলা-হয়রানি কি চলতেই থাকবে? দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে যুক্তিসংগত কোনো সমাধানের পথ কি নেই? রাজনৈতিক বিশ্নেষক ও বিশিষ্টজন বলছেন, এমন চলতে থাকলে দেশি-বিদেশি অপশক্তি ও মৌলবাদী উগ্রপন্থিরা পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে এবং ২০০৭-০৮ সালের মতো গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাঁদের বক্তব্য, সবার কল্যাণে এ সংকট থেকে বের হয়ে আসতে হবে এবং এর উপায় রাজনীতিবিদদেরই বের করতে হবে। অবশ্য সংঘাতপূর্ণ রাজনীতির দায় নিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। চলমান সহিংসতার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছেন দল দুটির শীর্ষ নেতারা। এই সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরাও। এমন পরিস্থিতিকে সুষ্ঠু নির্বাচনে বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করেন তাঁরা। সূত্র: সমকাল

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত গাড়ি সীমিত করার পরিকল্পনা

জ্বালানি সাশ্রয় ও কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী পরিবহনে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার সীমিত করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমানো ও স্কুলের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে স্থায়ী সুপারিশ প্রণয়নে কাজ করছে এ কমিটি। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু জ্বালানি সাশ্রয় ও কৃচ্ছ্রসাধন নয়, ঢাকার যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার সীমিত করে আনা জরুরি। দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু রাজধানী ঢাকা। উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের মূল লক্ষ্য যেমন ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তেমনি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দেশের অন্য সব শহরের চেয়ে ঢাকায় বেশি। স্বভাবতই ঢাকার মোট জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। মহানগরীতে শিক্ষার্থীদের এ বিপুল উপস্থিতি প্রভাব ফেলে ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থায়ও।রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই কোটি ট্রিপের প্রয়োজন পড়ে। জাইকার তথ্য বলছে, মোট ট্রিপের ১৮ শতাংশই ব্যবহার হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াতে। এ ট্রিপের একটা বড় অংশ হয় ব্যক্তিগত গাড়ি দিয়ে। স্কুল শুরু ও ছুটির সময় ঢাকার বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশের সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্যে তৈরি হয় যানজট। সূত্র: বণিক বার্তা।

উপজেলা নগরায়নের সুবিশাল পরিকল্পনা

উন্নত নাগরিক সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের সব উপজেলার জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছে সরকার, ভবিষ্যতে উপজেলা পর্যায়ে পরিকল্পিত নগরায়নের উন্নয়ন কর্মকান্ডের দিক-নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে এ মাস্টারপ্ল্যানের নথি। ভূমি সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার ও পরিবেশ সংরক্ষণ করে শহুরে ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের কথা আছে এ মাস্টারপ্ল্যানে। দেশের ৪৯৫টির মধ্যে ১৪ উপজেলার মাস্টারপ্ল্যান আগেই তৈরি করা হয়েছে এবং আটটির মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার বর্তমান সরকারের লক্ষ্যের অংশ এ মাস্টারপ্ল্যান তৈরি। ২০৩০ সালের মধ্যে সব উপজেলার স্বতন্ত্র মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হবে। কেবল উপজেলা সদর নয়; পুরো উপজেলাই মাস্টারপ্ল্যান নকশায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মাস্টারপ্ল্যানে প্রত্যেক উপজেলায়– উপযুক্ত আবাসন, হাসপাতাল, মার্কেট, স্কুল-কলেজ, খেলার মাঠ, কৃষি খামার, শিল্প কারাখানার জন্য স্থান নির্ধারণ করা থাকবে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড্

হঠাৎ উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ
৩৮৭ রাজনৈতিক সংঘাতে ৫৮ মৃত্যু

হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝেমধ্যেই ঘটছে সহিংসতা। এসব ঘটনায় বলি মানুষের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও জমে ওঠে নোংরা খেলা। এ ছাড়া সহিংসতা দমনে অংশ নেওয়া পুলিশের গুলিতে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও ভোলায় রাজনৈতিক দলের কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় উঠেছে নানা প্রশ্ন। তবে সরকারের শীর্ষস্থানীয়রা প্রতিবারই বলছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় সব কিছুই করা হবে। অন্যদিকে, গত নয় মাসে বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় নির্বাচনসহ রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতার ৩৮৭ ঘটনায় ৫৮ জন নিহত এবং ৫ হাজার ৪০০ জন আহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান পরিস্থিতি অনেক নেতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে নানা ক্ষেত্রে দুর্বৃত্তায়ন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। চাহিদা বাড়বে পেশাদার অপরাধীদের। রাজনীতির অঙ্গনে সুস্থ পরিবেশ আনা সম্ভব না হলে এবার অপশক্তি মাথা চড়া দিয়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রাজনীতি যখন মানুষের কাছে ব্যবসা হয়ে যায় তখন তো এসব সহিংসতা ঘটবেই। অর্থ, শক্তি ও দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করা না হলে সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ কখনো প্রত্যাশা করা যায় না। যদিও আমরা হামেশাই এসব ভুলে যাই। বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখি।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

চাল আমদানি: বাংলাদেশের আমদানিকারকরা চাল আনতে পারছেন না কেন

বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হলেও আমদানিকারকরা চাল আনতে পারছেন না। আমদানিকারকদের অনেকে বলেছেন, সরকার থেকে বেসরকারি খাতকে ১২ লাখ টনের বেশি চাল আমদানির অনুমোদন দেয়ার পরও তারা ১০ শতাংশ চালও আনতে পারেননি।অন্যদিকে সরকারিভাবে ভারত, মিয়ানমার , ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ড থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে।দেশে বোরো এবং আউশ ধানের উৎপাদন কম হয়েছে। এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় আমন ধানের উৎপাদনও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম হতে পারে বলে সরকারের কৃষি বিভাগ আশঙ্কা করছে।এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে বোরো ধান সংগ্রহে সরকার যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল, সেটিও পূরণ হয়নি।এই পরিস্থিতিতে সরকার বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেয় । সূত্র: বিবিসি বাংলা।

বিবিসি বাংলা রেডিও: একটি অধ্যায়ের বিদায় ঘণ্টা
বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিবিসি বাংলার একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বও আছে।

সেই ছোটবেলা থেকে রেডিওতে বিবিসি বাংলার খবর শুনে আসছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের স্কুল শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। রেডিওর নব ঘুরিয়ে শুনতে শুনতে যে ভালো লাগার শুরু, নতুন সময়ে মোবাইল ফোনে এফএম রেডিও হয়েও সে ভালো লাগা টিকে ছিল; এখন তা কেবলই স্মৃতি হতে চলেছে। দেলোয়ার হোসেনের মত অগণিত শ্রোতার দৈনন্দিন জীবনের সাথে ৮১ বছর ধরে জড়িয়ে থাকা বিবিসি বাংলার রেডিও সম্প্রচার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি)। কেবল বাংলা নয়, আরবি, ফার্সি, চীনা, কিরগিজ, উজবেক, হিন্দি, ইন্দোনেশিয়ান, তামিল ও উর্দু ভাষার রেডিও সম্প্রচারও আর শোনা যাবে না বিবিসিতে। কোনো ভাষা বিভাগই অবশ্য পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না। অনলাইন সংবাদমাধ্যম হিসেবে অনেকগুলো ভাষার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বিবিসি। সেই সঙ্গে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস থেকে ৩৮২ জন কর্মী কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বছরে খরচ কমবে ৩২০ কোটি টাকার বেশি। সূত্র: বিডি নিউজ

 

এসআই মিলটনের সাক্ষাৎকার
চুরি হওয়া মোবাইল যার কাছে পাওয়া যাবে তারও হতে পারে সাজা

যেন মরুভূমিতে সুই খোঁজার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলটন কুমার দেবদাস। ২০১৩ সালে চাকরি শুরুর পর এ পর্যন্ত ৫ হাজার ২০০’র বেশি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের কাছে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিকবার পুরস্কৃতও হয়েছেন। বর্তমানে এসআই মিল্টন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) খিলগাঁও থানায় কর্মরত।
তিনি বলেন, অনেক দামি জিনিস হারানোর চেয়ে মোবাইল হারানোর কষ্ট অনেক বেশি। কেননা মোবাইলে প্রয়োজনীয় নম্বর থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। জিডি করার পর ফোন উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে ফিরিয়ে দিলে অনেকে বিশ্বাসই করতে চান না। মোবাইল নেওয়ার সময় অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। হারানো মোবাইল ফিরে পেয়ে মানুষ যে অনুভূতি, দোয়া ও ভালোবাসা প্রকাশ করে সেটিই আমার জন্য আনন্দের। পুলিশ হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যেতে পারা যেমন আমার জন্য গর্বের বিষয় তেমনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্বের। হারানো মোবাইল উদ্ধার, মোবাইল না হারানোর কৌশল, পুরোনো মোবাইল কেনাবেচা সংক্রান্ত তথ্য ও হারিয়ে গেলে করণীয়সহ একাধিক বিষয়ে খোলাখুলি জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন এসআই মিল্টন কুমার দেবদাস। সূত্র: জাগো নিউ