র‌্যাব সব সময় সংস্কারের মধ্যেই আছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২২

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সব সময় সংস্কারের মধ্যেই আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, র‌্যাবের অনেকেই অপরাধ করায় কারাগারে রয়েছেন। এমনকি অনকে পুলিশের সদস্যও কারাগারে আছেন। র‌্যাবের সংস্কার সব সময় চলছে। কোনো অভিযোগ পেলেই আমরা সেটা সংস্কার করছি।

রোববার (২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র‌্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এলিট ফোর্স হিসেবে দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অনেক বড় বড় অপরাধীকে গ্রেপ্তার এবং আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। তা প্রশংসারও দাবি রাখে। কাজ করতে গেলে দু-একটা ভুল ভ্রান্তি হতে পারে। তাই বলে যে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তা মেনে নেওয়া যায় না। কোন ক্ষেত্রে, কি কিভাবে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে যারা এ অভিযোগ তুলছেন তারা তা নির্দিষ্ট করতে পারেননি। তারপরও আমরা বলব একটি বাহিনী প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল এবং জনগণের প্রয়োজনের স্বার্থে তাদের সংস্কার কিংবা পরিবর্তন করতে হয়। যদি সেরকম কিছু দেখা যায় তবে কারো প্রস্তাবে বা কথায় আমরা র‌্যাবকে সংস্কার করবো না। দেশের প্রচলিত আইনে যদি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা সংস্কার করবো।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মানবপাচার প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিয়ত নারী-পুরুষ-শিশু পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে মানবপাচারে। এ দেশ যেন মানবপাচারের ট্রানজিট হতে না পারে সে বিষয়টিও আমরা গুরুত্বসহ নজরদারিতে রেখেছি। মাঝে মধ্যে দু-একজন পাচারকারীর খপ্পরে পড়ে পাচার হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলে যাচ্ছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কেউ অভিযোগ করলে আমরা ওই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশে আনার চেষ্টাও করছি। ইতোমধ্যে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে পাচার হওয়া আমরা অনেক নারী-পুরুষকে এনেছি। আমাদের দেশ থেকে মানবপাচার হতে দেব না এবং যারা মানবেতর জীবনযাপন করছে তাদের বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। প্রয়োজনে পাচারের শিকার মানুষকে আমরা দেশে ফিরিয়ে আনবো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। এ কারণে পাচারকারীরা নদী পথ ব্যবহার করে মানবপাচার করছে। সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে ইতোমধ্যেই অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। তবে আমরা বলব বর্তমান সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক পাঠানো কিংবা কাজে যোগদানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কোন এজেন্সি কিংবা প্রতারকের খপ্পরে না পড়ে কেউ যদি বিদেশ যেতে চায়, সেক্ষেত্রে সরকারের মাধ্যমে তারা যেন বিদেশ যেতে পারেন সেজন্য অনুরোধ করা হলো।