অধ্যাপক তাহের হত্যা: মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত
সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো: জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একই সাথে রায়ের কার্যকারিতা আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের করা এক আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন এই আদেশ দেন।
শুনানি শেষে আদালত জানান, এই সময়ের মধ্যে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা যাবে না। একই সাথে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের ওপর রিভিউ শুনানি হবে আগামী ১৭ নভেম্বর।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো: জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।
এর আগে গত ০৫ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন- নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের শ্যালক আব্দুস সালাম।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সাআমিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেন।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারের বাসার বাইরের ম্যানহোলে তাহেরের লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় সেদিন তার ছেলে সানজিদ আলভী আহমেদ মতিহার থানায় মামলা করেন।
মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। দুই জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এছাড়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা ২০০৮ ও ২০০৯ সালে আপিল করেন। ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।
সারাদিন/০৬ অক্টোবর/এমবি
