জন্মের পরই শিশুকে এনআইডি নম্বর দেওয়া হবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২২

ফাইল ছবি-

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২২ এর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটি পাস হলে জন্মের পরই শিশুকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর দেওয়া হবে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২২ নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় আনা আইনটির খসড়া পুনঃমূল্যায়ন জন্য আবারও মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ আইন পাস হলে শিশুর জন্মের পরই ইউনিক আইডি দেওয়া হবে। এটিই তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর হবে। তবে আইনটি পাস হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসি এনআইডি কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন যেটা এনআইডি অ্যাক্ট হিসেবে ছিল, ২০১০ অনুযায়ী এটা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে ছিল। এটা এখন সরকার নিজের কাছে নিয়ে আসতে চাচ্ছে। কারণ ইসির যে অরিজিনাল কনসেপ্টটা ছিল সেটা ১৯৯৬ সালের, তখন ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে এটা শুরু হয়েছিল। পরে এটা এনআইডিতে রূপান্তর করা হয়। কিন্তু সে সময় এটার বেসিক কনসেপ্ট ছিল নির্বাচন রিলেটেড। পরবর্তীতে যখন এনআইডি করা হলো তখন এটার সঙ্গে অন্যান্য কর্মসূচি যোগ করা হলো। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, এটা সরকারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকা বেশি প্রয়োজন। কারণ তারা তো সব ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না। এ কারণে এটা সুরক্ষা সেবা বিভাগে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যারা পাসপোর্টটা হ্যান্ডেল করে।

তিনি আরও বলেন, একটু বলে রাখি, আলটিমেটলি একটা ইউনিক আইডিতে চলে যাচ্ছে। আজকেও এটা আলোচনা হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে আর্লি রেজিস্ট্রেশন হবে। জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যে রেজিস্ট্রেশনটা হবে সেটাই চার থেকে পাঁচ বছর পরে সব জায়গায় এটাই ব্যবহার হতে থাকবে। সেজন্য এটাকে পাসপোর্টের সঙ্গে লিংক করে জন্মের সঙ্গে সঙ্গে নম্বরটা দিয়ে দেওয়া হবে। অবশ্য আমাদের ক্ষেত্রে এটা পারা যাবে না। একেবারে জন্মের সঙ্গে সঙ্গে ফিঙ্গার প্রিন্ট, আইডেন্টিফিকেশন, সব দেওয়া হবে এবং মডিফিকেশন হবে। আমরা যারা বয়স্ক, আমাদের ক্ষেত্রে একবার দিয়ে দিলেই হবে। এটা সুরক্ষা সেবা বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।

Nagad

আইনটা হতে কতদিন লাগবে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা মনে হয় আর এক মাস লাগবে এটা মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য।

আগামী নির্বাচনের আগে আইনটি চূড়ান্ত হবে কিনা জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করবে। কার্যক্রম কীভাবে সম্পন্ন করা হবে, সেজন্য আইনের অধীনে পরবর্তী সময়ে বিধি করা হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আইনটি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা পরবর্তীতে রুল বা বিধি দিয়ে ঠিক করে দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইউনিক আইডি হলো সবারই একটা করে নম্বর থাকবে। এটা জন্মের পর করা হবে। এটাই সারাজীবন থাকবে। কিন্তু আপানার আমার ক্ষেত্রে তো এটা করা সম্ভব না। এটা আইন বাস্তবায়নের পর এটা রেশনাল সময় দিয়ে যে নম্বরটা পড়বে সেটাই পরবর্তীতে ইউনিক আইডি হবে।