খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় দুই বছর বা তার বেশি সাজা হলে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। সেই হিসেবে আগামী সংসদ নির্বাচনে দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৪৭তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
‘খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না এবং তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে কোনো ছাড় দেবে না’ বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, বিএনপির সেক্রেটারি জেনারেল দেশীয় আইন মানেন না। তাদের পক্ষে এ রকম কথা বলাটা যে খুব একটা সারপ্রাইজিং তা না। দেশে যে আইন আছে সে আইনে যদি তিনি যোগ্য হন তাহলে নির্বাচন করবেন। আর তিনি যদি অযোগ্য হন তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো দুর্নীতির মামলায় দুই বছর সাজা হলে এমপি নির্বাচন করতে পারবে না। সবক্ষেত্রেই এ নীতির প্রতিফলন আছে। খালেদা জিয়া আদালতের মাধ্যমে দণ্ডিত। প্রচলিত আইনানুযায়ী খালেদা জিয়া যোগ্য নির্বাচিত হলে নির্বাচন করতে পারবেন আর আইনানুযায়ী নির্বাচনের অযোগ্য হলে নির্বাচন করতে পারবেন না।’
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার কীভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে। আগে অপব্যবহার হয়নি তা অস্বীকার করছি না। গণমাধ্যমকে এ জন্য ভীত হবার কোনো কারণ নেই। এছাড়া দুই-তিনদিনের মধ্যে ক্রিটিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বিষয়ের উদ্দেশ্য তুলে ধরব।’
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডিত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি ছিলেন। পরে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের আবেদনে সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। এরপর খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের নিজের বাসভবন ফিরোজায় যান। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফের মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। সবশেষে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাসের জন্য মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।