ওয়াসার এমডিকে বেতন-ভাতা, অন্যান্য সুবিধার হিসাব দিতেই হবে

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২২

নিয়োগের পর থেকে গত ১৩ বছরে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইঞ্জিনিয়ার তাকসিম এ খানের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এ আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। ফলে তাকসিমকে বেতন-ভাতার হিসাব জমা দিতেই হবে।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ওয়াসা এমডি তাকসিম এবং ওয়াসা বোর্ডের ২টি পৃথক লিভ টু আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বোরহানউদ্দিন এই আদেশ দেন।

শুনানিকালে ওয়াসার এমডি ও বোর্ডের পক্ষে আইনজীবী এ এম মাসুম এবং কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক শামসুল আলম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

ক্যাবের দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, গত ১৭ আগস্ট হাইকোর্ট ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন ৬০ দিনের মধ্যে তাকসিম এ খানকে দেওয়া মোট বেতন, বোনাস, ভ্রমণ ভাতা ও দৈনিক ভাতাসহ সমস্ত বিবরণ প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে।

তাকসিম এ খানের ঢাকা ওয়াসের এমডি ও সিইও পদ ধরে রাখা এবং মাসে বেতন হিসেবে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

Nagad

এদিকে বিভিন্ন সময় আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছেন তাকসিম এ খান। ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন তিনি। প্রথম নিয়োগের পর থেকে ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। তিনি প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ ছয় লাখ ২৫ হাজার টাকা পান।

ঢাকায় অনেক এলাকায় ওয়াসার সরবরাহ করা পানি পানের অনুপযুক্ত হলেও তাকসিম দাবি করেন, ওয়াসার সরবরাহ করা পানি সুপেয় এবং তিনিও সেটি না ফুটিয়েই পান করেন। এরপর সমাজকর্মীরা তাকে জুরাইন এলাকায় সরবরাহ করা ওয়াসার পানির শরবত খাওয়াতে আসেন ওয়াসা ভবনে, কিন্তু তিনি সেদিন দেখা দেননি।

পরে ঢাকা ওয়াসার এমডি পানির দাম বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দেন সরকারের কাছে। এরই মধ্যে তাকসিম নিজের বেতন বাড়ানোর কথা বলেন বোর্ডকে। ওয়াসার কোনো আয় না থাকলেও নিজের এবং কর্মীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাবে সমালোচিত হন দীর্ঘ সময় ধরে এমডি পদে থাকা এ ব্যক্তি।