‘আমাদের কাজ নির্বাচন করা, এনআইডি নিয়ে মাথা ঘামাবো না’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২২

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে নিয়ে গেলে আমরা কী করবো? আমাদের কাজ নির্বাচন করা। আমরা এনআইডি নিয়ে মাথা ঘামাবো না।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘এখনো এনআইডি চলে যায় নাই। কেবল নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। এনআইডি এখানে থাকুক, সরকারের কাছে যাক, সেটা হচ্ছে ওদের ওয়ার্ক। খবরে দেখলাম- এখন যে শিশুটির জন্ম হবে সেও এনআইডি পাবে। সরকার যদি এমন উদ্যোগ নিয়ে থাকে তাহলে আমাদের প্রশংসা করা দরকার।’

এর আগে সোমবার নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কিছু করার নেই। বিষয়টি বর্তমান ইসির সময়ে ঘটেনি, যা কিছু ঘটার তা আগেই ঘটে গেছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার সিইসি বলেন, কে বললো? আইন তো এখনো হয় নাই। নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। এনআইডি চলে গেলে তো আমাদের ব্যাপার নয়। এটা রাষ্ট্র, সরকার এবং সংসদের বিষয়। এখানে আমরা কী করবো? কাজেই এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনার কোনো কারণ নেই। এটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাবো না। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন করা।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের দিকে মনোযোগ দেবো। আমাদের কাছে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা থাকবে। আমরা ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন করবো। এনআইডি নিয়ে আমরা মাথা ঘামাবো না।

Nagad

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এনআইডি আমাদের বিষয় নয়। এনআইডি এখানে থাকুক, সরকারের কাছে যাক, সেটা হচ্ছে ওদের ওয়ার্ক। আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য ভোটার তালিকা শুদ্ধ আছে কি না, যদি ইভিএমে ভোট হয় আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দিতে পারবে কি না- এগুলো আমাদের বিষয়।

তিনি বলেন, ভোটার তালিকার সঙ্গে এনআইডির সংযোগের কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের ভোটার তালিকার বাই প্রোডাক্ট হচ্ছে এনআইডি। এনআইডির বাই প্রোডাক্ট কিন্তু ভোটার তালিকা নয়। আমি নিউজে পড়ালাম, যে শিশুটির জন্ম হবে সেও এনআইডি পাবে। এখন সরকার যদি একটা উদ্যোগ নিয়ে থাকে সেখানে আমাদের প্রশংসা করা দরকার। এখন নির্বাচনটা যদি নিয়ে যেতে চায়, যে নির্বাচনটা অন্য কেউ করবে, তখন আমি কথা বলবো। এনআইডি যদি চলে যায়, এতে নির্বাচন প্রক্রিয়া যদি বিঘ্নিত হয় তখন আমরা দেখবো।

২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে নির্বাচন কমিশন। যার ভিত্তিতেই নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে ইসির কাছে সংরক্ষিত এনআইডি সার্ভার থেকে সরকারি-বেসরকারি ১৬৪টির মতো প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির পরিচিতি শনাক্ত করে নিচ্ছে।