ফটোসাংবাদিক আফতাব হত্যা: পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
একুশে পদক প্রাপ্ত ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ(৭৮) হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে দেওয়া পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে অপর এক আসামির ৭ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো: বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) ও আসামিপক্ষের আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন- বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল এবং আফতাব আহমেদের গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা। এদের মধ্যে রাজু মুন্সি ও রাসেল পলাতক রয়েছেন। আর সাত বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- সবুজ খান।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া মিতি। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান ও হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া মিতি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ আফতাব আহমেদ হত্যায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোডে ৬৩ নম্বরের নিজ বাসায় খুন হন ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ। পরের দিন ২৫ ডিসেম্বর বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
৬৯ বছর বয়স্ক সাংবাদিক আফতাব আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাকের ফটোসাংবাদিক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে অনেক দুর্লভ ছবি তোলেন। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০০৬ সালে একুশে পদক পান তিনি।
সারাদিন/১২ অক্টোবর/এমবি