নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি পেলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল : মেয়র আতিক
বাণিজ্যিক ভবনের সিঁড়িতে প্রতিবন্ধকতা পেলে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি পেলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে ডিজাস্টার্স ম্যানেজমেন্ট এক্সারসাইজ শীর্ষক এক আলোচনায় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র আতিক বলেন, ‘ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটি, ইলেকট্রিক্যাল সেফটি এগুলো নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করতে হবে। অনেক বাণিজ্যিক ভবনে দেখা যায় সিঁড়িতে দোকান বসিয়ে দেওয়া হয়। আমরা যেকোনো সময় পরিদর্শনে যাব। কোনো ভবনের সিঁড়িতে প্রতিবন্ধকতা পেলে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি পেলে, ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) অনুযায়ী ভবন নির্মাণের সময় ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিভাগের ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। উঁচু ভবনের ক্ষেত্রে এসবের সঙ্গে ফায়ার ডিটেক্টর, স্মোক ডিটেক্টর, উচ্চগতির পানি স্প্রে সিস্টেম ও কার্বনডাই অক্সাইড নির্গমন সিস্টেম থাকাও বাধ্যতামূলক। কিন্তু, পরিতাপের বিষয় যে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন নগরীর বেশির ভাগ ভবন নির্মাণে এসব কোড ঠিকমতো মানা হয় না। ফলে, বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে।’
সাভারের রানা প্লাজা ধসের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমি বিজিএমইর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এক মাস পরই রানা প্লাজা ধসের ঘটনা ঘটে। তখন আমি দ্রুত সেখানে গিয়ে সরাসরি উদ্ধার কাজ শুরু করি। ছাত্রজীবনে বিএনসিসি আমাদের শিখিয়েছে, দুর্যোগের সময় ঘরে বসে থাকলে চলবে না। মানুষের সহায়তায় এগিয়ে যেতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে হবে।’
মেয়র বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের পর গার্মেন্টস সেক্টর হুমকির মুখে পড়ে যায়। তখন আমি বিজিএমইর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেই। আমি দফায় দফায় মিটিং করেছি কমপ্লায়েন্স ইস্যু নিয়ে। আমি গার্মেন্টসগুলো বায়ারদের কাছে ওপেন করে দেই। এর ফলে আমরা তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হই। তারা কারখানা ভিজিট করে অনলাইনে রিপোর্ট দিয়েছে। যেসব ফ্যাক্টরিতে নেগেটিভ রিপোর্ট হতো তাদের কাছে অর্ডার আসত না। এর ফলে ধীরে ধীরে সবাই কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে বাধ্য হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।