বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন, পলাতক প্রেমিক

নোয়াখালী প্রতিনিধি:নোয়াখালী প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২২

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন প্রেমিকা (১৮)।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের প্রেমিকের বাড়িতে এ অনশন চলছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

প্রেমিক মো.বেলাল হোসেন (২২) ওই গ্রামের মো.হারুনের ছেলে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী একই এলাকার ফরিদ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা। তারা দুইজনই একই ইউনিয়নের একই গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর প্রেমিক বেলাল সপরিবারে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। এ সময় প্রেমিকের বাড়িতে ভিড় জমান এলাকাবাসী।

ওই কিশোরী অভিযোগ করে বলেন, দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিক বেলাল তাকে দুই মাস আগে ধর্ষণ করেছে। সম্প্রতি বিষয়টি পরিবার জেনে যায়। এরপর থেকেই বেলালকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। ১৫-২০ দিন আগে বেলালের সাথে বিয়ে নিয়ে আমাদের বাড়িতে কথা চলছিল। এমন খবর পেয়ে ওই সময় তার মা-বাবা আমাদের বাড়িতে গিয়ে তাকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরিবারের চাপে পড়ে এখন সেই সম্পর্ক অস্বীকার করছে প্রেমিক। তার পরিবারও এই সম্পর্ক মানতে নারাজ। তড়িঘড়ি করে কয়েক দিন আগে তার পরিবার অন্য জায়গায় তার এনগেজমেন্ট করে। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে তিনি অনশন শুরু করেছেন। প্রেমিক বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও জানান এ কিশোরী।

এ ঘটনায় পলাতক থাকায় এ নিয়ে প্রেমিক বেলালের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদ সমাজের সভাপতি বোরহান উদ্দিন জানান, ওই কিশোরীর সাথে অভিযুক্ত যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছু দিন আগে তাকে তার প্রেমিকার বাড়ি থেকে নিয়ে এসে তার মা-বাবা তাকে আটক করে রাখে। পরবর্তীতে তাকে অন্য জায়গায় বিয়ের জন্য এনগেজমেন্ট করে। সামাজিক ভাবে মেয়ের পরিবার আমাদেরকে বিষয়টি জানায়। ছেলে পক্ষ সামাজিক ভাবে বৈঠকে না আসায় এটা নিয়ে কোন সুরাহা হয়নি।

Nagad

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।