আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২২

চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস
রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ৫,৫০০ কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক-কর আদায়ে ঘাটতি সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এ সময়ে এনবিআর আদায় করেছে ৬৫ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা। ওই তিন মাসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্য ছিল ৭১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। এনবিআরের সাময়িক হিসাবে এ চিত্র পাওয়া গেছে। চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমলেও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে রাজস্ব আদায়। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের রাজস্ব আদায় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বিশাল লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য অর্জনে গতবারের চেয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বৈশ্বিক মন্দার পূর্বাভাসের কারণে দেশের অভ্যন্তরে অর্থনীতি কিছুটা শ্লথগতিতে আছে। এসব কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। এনবিআর কর্মকর্তারা আশা করেন, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবসা-বাণিজ্য আবারও গতি পাবে। রাজস্ব আদায় বাড়বে। সূত্র: প্রথম আলো

লুটপাট উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষাকে খারাপ দিকে নিতে পারে

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে নিম্নবিত্ত ও গরিব মানুষেরও নিজেদের উন্নয়ন করার একটি আকাঙ্ক্ষা ও প্রেরণা আছে। তবে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মূল্যবোধের সমন্বয় ঘটাতে হবে। এই সমন্বয় ঘটাতে পারলে উন্নয়ন প্রেরণা গতি পায়। লুটপাট, মাস্তানির মতো বিষয় উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষাকে খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে।রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল রবিবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত ‘আকাঙ্ক্ষার গতি প্রেরণা : বাংলাদেশের উন্নয়ন গল্প’ শীর্ষক সেমিনারে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী ও বিআইডিএসের গবেষক মাহির এ রহমান সেমিনারে যৌথভাবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচনা করেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

ভেজাল ওষুধে মানুষের সর্বনাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ওয়েস্ট ল্যাবরেটরিজ (আয়ু) নামে এক ওষুধ কারখানার অনুমোদন দিয়েছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। ২০১৬ সালে এখানে নিয়মিত আয়ুর্বেদিক ওষুধ উৎপাদন করার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর অনুমোদন দেয়। কিন্তু আয়ুর্বেদিক ওষুধের আড়ালে এ কারখানায় দিনের পর দিন তৈরি হতে থাকে গ্যাস্ট্রিকসহ বিভিন্ন রোগের নকল ওষুধ। অভিযান চালিয়ে ভেজাল সিন্ডিকেটের দুজনকে গ্রেফতার করে কারখানা সিলগালা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর।
ইউনানি ওষুধ উৎপাদনের জন্য লাইসেন্স রয়েছে ২৮৪টি প্রতিষ্ঠানের। নীতিমালা অনুসরণ করে ওষুধ উৎপাদনের কথা তাদের। তা না করে বৈধ কারখানায় নকল ওষুধ উৎপাদন করছে প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েকটি। এমন অন্তত ১২টি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মাঠে নামলে বেরিয়ে আসে এসব চিত্র। এসব কারখানায় কিডনি, ক্যান্সার থেকে শুরু করে সব ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধির নকল ওষুধ তৈরি হচ্ছে। আয়ুর্বেদিক কারখানার অনুমোদন থাকায় সন্দেহ করছে না প্রশাসন কিংবা সাধারণ মানুষ। জনবল সংকটের কারণে এসব কারখানায় নিয়মিত তদারকি করতে পারছে না ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় মাঝে মাঝে পরিচালিত অভিযানে এসব অপরাধীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিন্তু নকল ওষুধের সিন্ডিকেটের জোরে অল্প সময়ের মধ্যে জামিনে বের হয়ে আবারও একই অপরাধে জড়াচ্ছেন তারা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

৫৭ জেলা পরিষদে ভোট আজ
আগের রাতেই হামলা ভাঙচুর গুলি
নড়াইলে এমপির নেতৃত্বে পৌরভবনে ও পঞ্চগড়ে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাসভবনে হামলা

দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ ভোট গ্রহণ হবে। এর আগেই শনিবার রাতে কয়েকটি স্থানে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, ভাঙচুর, গুলি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ভোটের মাঠে সংসদ সদস্যদের সরাসরি প্রভাব বিস্তার, প্রতিপক্ষকে হুমকিধমকি ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল আগে থেকেই। তাই আজকের ভোটগ্রহণ ঘিরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। নড়াইলে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির নেতৃত্বে শনিবার রাতে পৌরভবনে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা গুলিবর্ষণ করে এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনি কাজে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় এমপি মুক্তিকে প্রধান আসামি করে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। একই রাতে পঞ্চগড়ে দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাসভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হেলমেট পরা একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কুড়িগ্রামে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সুফিয়া খাতুনের প্রচারণায় হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। কক্সবাজারের রামুতে শতাধিক ভোটারকে তিনটি বাস ও পাঁচটি মাইক্রোতে ‘আনন্দভ্রমণে’ পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে স্থানীয় সংসদ-সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সকাল ৯টা থেকে টানা ২টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোট মেশিন-ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। সূত্র: যুগান্তর।

জঙ্গিদের নতুন তৎপরতা নেপথ্যে সেই শিক্ষক

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে একের পর এক তরুণ নিরুদ্দেশ হওয়ায় সম্প্রতি জঙ্গি তৎপরতার নতুন তথ্য সামনে এসেছে। এখন পর্যন্ত ৫৫ জন হিজরতের উদ্দেশ্যে বাড়ি ছেড়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গুলশানে হলি আর্টিসানে হামলার পর দেশব্যাপী জঙ্গিবিরোধী ধারাবাহিক অভিযানে অনেকটা নিষ্ফ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল উগ্রপন্থি সংগঠনগুলো। তবে ফের বিপুলসংখ্যক তরুণ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হয়ে ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলছেন সংশ্নিষ্টরা। দুই মাস থেকে শুরু করে এক বছর ধরে এসব তরুণের খোঁজ নেই। প্রশ্ন উঠেছে- নেপথ্যে থেকে কারা আবার জঙ্গিদের সক্রিয় হতে ভূমিকা রাখছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র সমকালকে জানায়, নতুনভাবে উগ্রপন্থিদের চাঙ্গা করতে নেপথ্যের অন্যতম প্রধান কারিগর হলেন সাবেক এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। তাঁর নাম শামিন মাহফুজ (৪৭)। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় তিনি বোর্ডে স্ট্যান্ড করেছিলেন। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে ভর্তি হন। ২০০৩ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হন। ২০১১ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ২০১৭ সালে জামিনে বের হওয়ার পর থেকেই শামিন লাপাত্তা। জঙ্গিবাদে জড়ানোর কারণে দু’বার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সূত্র: সমকাল

৩৭শ কোটি টাকা লুটপাটে দায়ী পাঁচ ডেপুটি গভর্নর
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি) ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) থেকে অবৈধভাবে জামানতবিহীন ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আইএলএফএসএল শুধু ভারতে কারাবন্দি প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) এবং তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামেই নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। আর বিআইএফসি থেকে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান ও তার প্রতিষ্ঠান নিয়ে গেছে ৬০০ কোটি টাকা। বছরের পর বছর ধরে এই লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও নিশ্চুপ হয়ে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও জড়িতদের খুঁজে বের করতে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সাত সদস্যের কমিটির দুটি আলাদা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে ৫ জন সাবেক ডেপুটি গভর্নরসহ ২৪৯ কর্মকর্তাকে এই লুটপাটের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এই কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছাড়া এত বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা সম্ভব ছিল না বলে মনে করেন তদন্তকারীরা। এতে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ ১৩ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরেক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিংয়ের লুটপাটের তদন্ত এখনো চলছে। সূত্র: কালবেলা।

জার্মানির অর্থনৈতিক মন্দায় উদ্বিগ্ন বাংলাদেশী রফতানিকারকরা

ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশটির ওপর। জার্মানির অর্থ মন্ত্রণালয় শুক্রবার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, দেশটিতে মন্দা শুরু হয়েছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে শুরু হয়ে এ মন্দার ব্যাপ্তি ছড়াবে আগামী তিন প্রান্তিকেও। জার্মানির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হাবেক ১২ অক্টোবর জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে অর্থনৈতিক মন্দায় ডুববে জার্মানি। অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু হয়েছে, যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে পশ্চিমের অর্থনীতিতে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অর্থনীতিবিদদের ধারণা ছিল, ২০২৩ সালে জার্মান অর্থনীতি ২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়বে। কিন্তু বাস্তবে তা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২২ সালে ২ দশমিক ২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করা হয়েছিল, বাস্তবে তা ১ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। ফলে এ বছরও প্রবৃদ্ধির হার কম। এ দুইয়ের যোগফলেই ২০২৩ সালে জার্মানিতে মন্দা দেখা দেবে। জার্মান অর্থনীতির বিদ্যমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিকারকদের মধ্যে। বিশেষ করে যারা জার্মানিতে পোশাক রফতানি করেন তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। কারণ এরই মধ্যে দেশটিতে পোশাক রফতানির গতি কমে এসেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরু থেকেই রফতানি প্রবৃদ্ধির হারে এ প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

মূল্যস্ফীতিতে যেভাবে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে

ব্যাংক আমানতের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে ক্রমবর্ধমান পণ্যমূল্য। কারণ জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় খরচ মেটানোর পর মানুষের হাতে বলতে গেলে ব্যাংকে রাখার মতো টাকাই থাকছে না। সংসারের খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমানতের টাকা ভেঙে ভেঙেও খাচ্ছেন অনেকে।

এর ওপর ডলার ক্রয়ে ব্যাংকগুলোর ব্যয় এবং বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ দুটোই বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং সিস্টেমে ব্যাপক তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে। এ সংকট উত্তরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যংকগুলোর ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। একইসঙ্গে স্বল্প সময়ে এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকের টাকা ধার নেয়া ‘কল মানি রেট’ অধিক পরিমাণ বেড়েছে।বাংলাদেশের ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, চলতি বছরের আগস্টে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.৮ শতাংশ কমে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাংকের তথ্য বলছে, ব্যাংকগুলোর ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও মেয়াদি আমানত (টাইম ডিপোজিট) ও চাহিদা আমানত (ডিমান্ড ডিপোজিট) লক্ষণীয়ভাবে কমছে। মেয়াদি আমানতের অর্থ একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। অন্যদিকে চাহিদা আমানতের অর্থ কোনো নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত জমা রাখার বাধ্যবাধকতা নেই; চাহিদা আমানত থেকে যেকোনো সময় টাকা উত্তোলন করা যায়। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড্

সরকারি চাকরি: বাধ্যতামূলক অবসর কেন দেয়া হয়, এটা কি আমলাদের জন্য কোনো শাস্তি

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মকবুল হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার এবং কিন্তু ঠিক কি কারণে তাকে অবসরে পাঠানো হলো সেটি প্রকাশ করা হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে শুধুমাত্র জনস্বার্থে চাকরি হতে অবসর দেয়ার কথা বলা হলেও তার কোন কর্মকাণ্ড জনস্বার্থবিরোধী হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। প্রজ্ঞাপনটি রবিবার জারি করা হয়েছে।সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের কয়েকজন বলেছেন যে আইন অনুযায়ী সরকার ২৫ বছর হয়ে গেলে একজন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠাতে পারে কিন্তু সেজন্য সুনির্দিষ্ট কারণ কখনো প্রকাশ করা হয় না।তবে সাম্প্রতিক সময়ে সচিব মর্যাদার কোন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনাটি বিরল এবং এ কারণে মিস্টার হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সরকারি এ সিদ্ধান্ত কার্যত বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে প্রশাসনের ভেতরে ও বাইরে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

নাজমা-অপু আর কত দিন, প্রশ্ন যুব মহিলা লীগেই

দুই দশকে দুবার কাউন্সিল হলেও নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটেনি যুব মহিলা লীগে; এতে সাংগঠনিক কার্যক্রম নুইয়ে পড়াসহ নেতাদের বয়সের প্রশ্ন তুলে নেতৃত্বের হাল ধরার সুযোগ চাইছেন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটির অন্য নেতারা। ২০০২ সালে জন্ম নেওয়ার পর থেকে যুব মহিলা লীগের নেতৃত্ব নাজমা আক্তার ও অপু উকিলের হাতে। নেতাকর্মীরা বলছেন, এতদিনেও নেতৃত্বে পরিবর্তন না আসায় সংগঠনের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। ‘আধিপত্যের কারণে’ সংগঠনের শৃঙ্খলাও ব্যাহত হচ্ছে। যুব মহিলা লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর এক সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নাজমা আপা ও অপুদি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন বয়স আমাদের চেয়ে অনেক কম ছিল। তখন নেত্রী (শেখ হাসিনা) তাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, আমরা এতদিন সংগঠন করেও দায়িত্ব পেলাম না!“আমাদের মধ্যে অনেকেই সংগঠন সুন্দরভাবে পরিচালনা করার যোগ্যতা আছে, কিন্তু কেন বারবার উনাদের দিচ্ছেন।”যুব মহিলা লীগের নেতৃত্বে জটলার প্রশ্নে সায় দিয়ে নতুনদের সুযোগ দেওয়ার কথা বললেন সভাপতি নাজমা। এনিয়ে অপু উকিলের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সূত্র: বিডি নিউজ