দ্বিতীয় ইউনিটে বসল ‘চুল্লিপাত্র’, উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১২:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২২

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটে রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভ্যাসেল (আরপিভি) বা পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের (আরএনপিপি) দ্বিতীয় ইউনিটে রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভ্যাসেল (চুল্লিপাত্র) স্থাপনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী

বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এ কাজের উদ্বোধন করবেন।

পরমাণু বিজ্ঞানীরা এই চুল্লিপাত্রকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের হার্ট বা হৃৎপিণ্ড বলে থাকেন। চুল্লিপাত্রই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূলযন্ত্র, এর মধ্যেই শক্তি উৎপাদন হবে, যা কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হবে বিদ্যুৎ। ফলে ঐতিহাসিক এই প্রকল্পের সব ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রপাতি স্থাপন কাজ শেষ হলো। এখন শুধু অপেক্ষা বিদ্যুৎ উৎপাদনের।

এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর আরএনপিপি’র প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভ্যাসেল (চুল্লিপাত্র) স্থাপনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঠিক একবছর ৮ দিন পর আজকে দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধনের পর প্রকল্পের পারমাণবিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শেষ হলো। এটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ হবে পারমাণবিক জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী বিশ্বের ৩৩তম দেশ।

এর আগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল (আরপিভি) স্থাপনের মধ্যদিয়ে আরএনপিপির দ্বিতীয় ইউনিটে বড় ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ হবে।প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, দ্বিতীয় ইউনিটে অবকাঠামোতে আরপিভি স্থাপনের মধ্যদিয়ে সব ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রপাতি স্থাপন কাজ শেষ হবে। আরএনপিপি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন।

Nagad

প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিটও অনুরূপ বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।

বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশন রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্প কাজ বাস্তবায়নে জনশক্তি প্রশিক্ষণসহ মোট ব্যয় হচ্ছে ১২.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশ অর্থায়ন করছে রাশিয়া। বর্তমানে প্রকল্পে ৩৩ হাজার লোক কাজ করছে। এদের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার বিদেশি নাগরিক রয়েছেন।