সালমান রুশদির এক চোখ-হাত অকার্যকর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২২

ছবি- সংগৃহীত

আলোচিত-সমালোচিত লেখক সালমান রুশদির একটি চোখ ও এক হাত অকার্যকর হয়ে গেছে। গত ১২ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি শিক্ষাকেন্দ্রে হলভর্তি দর্শকের সামনে বক্তৃতা দেওয়ার প্রস্তুতিকালে রুশদির ওপর ছুরি হামলা হয়।

১৯৮৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সালমান রুশদির বিতর্কিত ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ বইটি প্রকাশিত হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা:) অবমাননা ও তার স্ত্রীদেরকে নিয়ে চরম আপত্তিকর বক্তব্য প্রকাশ করেন রুশদি।

এই ঘটনায় ১৯৮৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনী রুশদির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। এরপর রুশদি আত্মগোপনে চলে যান এবং সব সময় পুলিশ প্রহরায় তাকে জীবনযাপন করতে হয়েছে।

গত আগস্টে নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতের শিকার হন ৭৫ বছর বয়সী রুশদি। তার জখম এতটাই গুরুতর ছিল যে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে (কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস প্রশ্বাস চালু রাখার প্রক্রিয়া) রাখা হয়েছিল। মৃত্যুর সাথে লড়ে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

স্প্যানিশ পত্রিকা এল পাইসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুশদির এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি ওই হামলা কতটা নিষ্ঠুর ছিল, তা ব্যাখ্যা করেছেন। ওয়াইলি বলেন, ‍“তার বুকে ১৫টি গভীর ক্ষত রয়েছে এবং তিনি এক চোখ হারিয়েছেন। ঘাড়ে তিনটি গুরুতর জখম ছিল। তার বাহুর স্নায়ু কেটে যাওয়ায় এক হাত অক্ষম হয়ে গেছে।”

রুশদি এখনো হাসপাতালে আছেন কি-না? এমন প্রশ্নে ওয়াইলি বলেন, “তার অবস্থান সম্পর্কে আমি জানাতে পারব না। তিনি যে বেঁচে আছেন, এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”

Nagad

হামলার পর তার ছেলে জাফর রুশদি জানিয়েছিলেন, তার বাবার ওপর যে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে তা মারাত্মক ও জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে দেবে।

এই ঘটনায় হাদি মাতার নামে লেবাননী বংশোদ্ভুত একজন ২৪ বছর বয়সী আমেরিকান নাগরিককে আটক করা হয়। আটকের পর আগস্ট মাসেই কারাগারে থাকা অবস্থায় নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাদি মাতার খোমেনীকে মহান ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করেন। তবে তিনি এই কথা বলেননি যে, ইমাম খোমেনীর ওই ফতোয়া অনুসরণ করে তিনি রুশদির ওপর হামলা চালিয়েছেন।

হাদি মাতার সবসময় বলেছেন, তিনি রুশদিকে পছন্দ করেন না। এই ব্যক্তি ইসলামের ওপর আঘাত হেনেছে। রুশদিকে হত্যা প্রচেষ্টার জন্য হাদি মাতার নিজেকে নির্দোষও দাবি করেছেন।

সারাদিন/২৪ অক্টোবর/এমবি