এআইইউবিতে ন্যানোটেকনোলজি দিবস উদযাপিত

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর দ্য সেন্টার ফর ন্যানোটেকনোলজি রিসার্চ (সিএনআর) অব ডা. আনোয়ারুল আবেদীন ইনস্টিটিউট অব ইনোভেশনের উদ্যোগে ও আইইইই এআইইউবি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ-এর সহযোগিতায় ন্যানোটেকনোলজি দিবস উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে এক আনন্দঘন পরিবেশে দিবসটি উদযাপিত হয়।

এসময় এআইইউবি-এর ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এবিএম সিদ্দিক হোসেন, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. তোফাজ্জল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসেবে অধ্যাপক ড. মো তোফাজ্জল ইসলাম ‘এ জার্নি টু আননোনস ইন দ্যা ফেমটো-ন্যানো ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় শতাধিক ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। ন্যানোটেকনোলজির গুরুত্ব, বাংলাদেশে কৃষি ক্ষেত্রে ন্যানোটেকনোলজি বিষয়ে গবেষণার সুযোগ ও সাফল্য, ফেমটো টেকনোলজির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে গবেষণায় সাফল্য লাভে করণীয়, দেশে গবেষণা সংস্কৃতি গড়ে ওঠার প্রয়োজনীয়তা, গবেষণায় চ্যালেঞ্জ ও সাফল্য, গবেষণায় সরকারি সহযোগিতা পাওয়ার সুযোগ ইত্যাদি বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন।

উল্লেখ্য, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও সাধারণ মানুষকে ন্যানোটেকনোলজির সঙ্গে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ বা তার কাছাকাছি সুবিধাজনক সময়ে ন্যানোটেকনোলজি দিবস পালন করা হয়। এবছর জলবায়ু পরিবর্তন ও চিকিৎসা সেবায় ন্যানোটেকনোলজির ব্যবহারকে প্রতিপাদ্য ধরে দিবসটি সারা বিশ্বে উদযাপিত হচ্ছে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এবিএম সিদ্দিক হোসেন বলেন, একসময় বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন কম ছিল, কিন্তু গবেষণার মাধ্যমে বর্তমান বিশ্ব আগের চেয়ে খাদ্য উৎপাদনে অনেক স্বয়ংসম্পূর্ণ। এআইইউবি সবসময় গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেয় এবং তারই ধারাবাহিকতায় ন্যানো সেন্টারসহ আরও বেশ কয়েকটি রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সেন্টার ফর ন্যানোটেকনোলজি রিসার্চের ইনচার্জ ও ড. আনোয়ারুল আবেদীন ইনস্টিটিউট অব ইনোভেশনের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ মাহবুব রব্বানী স্বাগত বক্তব্যে ন্যানোটেকনোলজি দিবস উদযাপনের উদ্দেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও চিকিৎসা সেবায় ন্যানোটেকনোলজির অবদান, এআইইউবিতে প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর ন্যানোটেকনোলজি রিসার্চের কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, এআইইউবিতে ন্যানোটেকনোলজি বিষয়ে পাঠদান, শিক্ষার্থীদের গবেষণায় দৃশ্যমান আগ্রহ ইত্যাদি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।