নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই ইমরান খানের: হাইকোর্ট
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে তার বিরুদ্ধে তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) রায়ের পরে ভবিষ্যতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ।
এমনকি আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এনএ-৪৫ (কুররাম-১) উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তার কোনও সমস্যা হবে না বলেও জানান প্রধান বিচারপতি।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) তোশাখানা রেফারেন্স মামলায় ইসিপি-এর আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের করা আবেদনের শুনানির সময় এই পর্যবেক্ষণের কথা জানান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ।
একই সাথে ইমরান খানের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন স্থানীয় হাইকোর্ট।
এর আগে গত শুক্রবার (২১ অক্টোবর) তোশাখানা মামলায় মিথ্যা বিবৃতি জমা দেয়ায় পিটিআই প্রধান ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে ইসিপি এবং বলেছে তিনি ‘মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে দুর্নীতি করেছেন’।
প্রধান বিচারপতি আতাহার মিনাল্লাহ রেজিস্ট্রার অফিসের আপত্তি সত্ত্বেও মামলাটির শুনানি করে। পিটিআইয়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার আলী জাফর আদালতে তার যুক্তি উপস্থাপন করেন।
আজকের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি পিটিশনের আপত্তিগুলো জানতে চান। ইমরান খানের আইনজীবী বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন নিয়ে যে আপত্তি আছে, সে সম্পর্কে জানান। আরেকটি হলো নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সত্যায়িত অনুলিপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত ছিল না।
এরপর ইমরানের আইনজীবী জাফর আদালতকে বলেন, ইসিপি এখনও তার বিস্তারিত রায় জারি করেনি। তারা মাত্র দুই পৃষ্ঠার আদেশ পেয়েছে।
তখন প্রধার বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, মামলা নিয়ে এত তাড়া কেন? জবাবে জাফর বলেন, তার মক্কেল আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিবেন। তিনি আরও বলেন, ইসিপি ইমরান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিচারের নির্দেশ দিয়েছে। তাকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করার ফলে নির্বাচনের ওপর প্রভাব পড়বে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি তার কাছে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সত্যায়িত অনুলিপি চান। তিন দিনের মধ্যে সেটি আদালতে জমা দিলে আবারও শুনানি হবে বলে জানান।
সারাদিন/২৪ অক্টোবর/এমবি